সিলেটের ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযান যে কোনো মুহূর্তে

প্রকাশ | ২৫ মার্চ ২০১৭, ০৮:৫৮ | আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৭, ০৯:০৩

সিলেট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় সন্দেহভাজন ‘জঙ্গি আস্তানা’য় যে কোনো মুহূর্তে অভিযান চালাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযান চালানোর জন্য ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সতর্কতার জন্য বাড়ানো হয়েছে পুলিশের সংখ্যা। সকাল আটটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাড়িটির চারপাশ ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো ইউনিট ও সোয়াত সদস্য ও পুলিশ সদস্যরা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, তারা সব ধরনের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন। ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে জনসাধারণ ও সংবাদকর্মীকে সরে যেতে বলা হয়েছে। বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে ওই এলাকার বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস সংযোগ। প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স।

এদিকে গতকাল বাড়িটি ঘিরে রাখার সেখানে জিম্মি থাকা কয়েকটি পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনো চতুর্থ ও পঞ্চম তলার কয়েকটি পরিবার জিম্মি আছে বলে জানা গেছে।  তাদের কীভাবে বের করে আনা যায়, সে চেষ্টা করছে যৌথ বাহিনী। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এজন্য অভিযান চালাতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে।

সূত্রটি আরও জানায়, জঙ্গি আস্তানাটিতে চারজন জঙ্গি আছে বলে তারা ধারণা করছেন। এদের মধ্যে একজন নারীও আছেন, তার নাম মর্জিনা বলে জানিয়েছে বাড়ির মালিক।

এদিকে ঘেরাওয়ের ৩০ ঘণ্টার মতো পেরিয়ে গেলেও এখনো অভিযান শুরু না হওয়ায় আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে আছেন। এছাড়া বাড়িটির অদূরে অনেক উৎসুক জনতার ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়। অভিযান স্বচক্ষে দেখার জন্য সকাল থেকে বাড়িটির অদূরে অবস্থান নিয়েছেন এসব মানুষ।

উল্লেখ্য, জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পেয়ে শুক্রবার ভোর তিনটার দিকে সিলেট শহর থেকে আনুমানিক পাঁচ কিলোমিটার দূরের পাঁচ তলার ওই বাড়িটি ঘিরে ফেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের জঙ্গিবিরোধী বিশেষ শাখা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সদস্যরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন সিলেট মহানগর পুলিশের একটি দল। 

ওই বাড়িটির নিচতলার একটি পক্ষে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা আস্তানা গেড়েছে বলেছে জানিয়েছে ‍পুলিশ। তারা জানায়, সেখানে অবস্থানকারীদেরকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হলে তারা ভেতর থেকে গ্রেনেড ছুড়ে পারে।

এরপর পুলিশ আর বাড়িটিতে অভিযান না চালিয়ে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াটকে খবর দেয়। বিকাল চারটার দিকে সোয়াটের দল ঘটনাস্থলে যায়। ঘণ্টা চারেক পর সেখানে যায় সেনাবাহিনীর একটি দল।

ঢাকাটাইমস/২৫মার্চ/এমআর