দেশব্যাপী কোরআন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

প্রকাশ | ২৭ মার্চ ২০১৭, ১৯:৩৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দেশব্যাপী জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা, হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান ও গুণীজন সংবর্ধনা রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মারকাজুত তাহফিজ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর উদ্যোগে যাত্রাবাড়ীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার ব্যবস্থাপনায় এই প্রতিযোগিত অনুষ্ঠিত হয়।

দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় বাছাইপর্ব প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে ফাইনাল পর্বে মিলন মেলা তিন শতাধিক বাছাইকৃত প্রতিযোগীকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী তিনজনকে স্বর্ণ, রৌপ্য ও কম্পিউটারসহ ১০ জনকে আকর্ষণীয় গিফটহ্যাম্পার তুলে দেয়া হয়।

এদের মধ্যে প্রথম পুরস্কার বিজয়ী চট্টগ্রাম বিভাগের তারেক মনোয়ার-কে স্বর্ণ পদক, খুলনা বিভাগের ওমর ফারুক-কে রৌপ্য পদক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জোনের বিজয়ী মোহাম্মাদ শেখ তামিম-কে কম্পিউটারসহ বিভিন্ন পুরস্কার এবং সাতটি বিভাগীয় ও  তিনটি জেলা প্রতিনিধিকে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন অতিথিরা।

উপস্থিত ছিলেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম ও ভারপ্রাপ্ত খতিব মুফতি মিজানুর রহমান কাসেমী, হুফফাজুল কোরআন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাফেজ ক্বারী আব্দুল হক ও সিনিয়র সহ সভাপতি হাফেজ ক্বারী বজলুল হক,  কোরআনের আলো ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যন আবু ইউসুফ ও সেক্রেটারি মুফতি মো. মহিউদ্দীন, কোরআনের আলোর বিশিষ্ট বিচারক ক্বারী মো. জহিরুল ইসলাম, ক্বারী আবু রায়হান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বের মধ্যে এক বিরল নজির স্থাপন করেছে কোরআনের শিক্ষা এবং প্রচারের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছে। বারবার আন্তর্জাতি কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অর্জন করে সুনাম বয়ে আনছে, ভূষিত হয়েছে নানা সম্মাননায়। হাফেজ ক্বারী নেছার আহমাদ আন নাছিরী হিফজ মাদরাসার শুদ্ধ তেলাওয়াতের পাশাপাশি আধুনিকায়নের জন্য নিরলস সাধনা করে যাচ্ছেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল হাফেজ কারী নেছার আহমাদ আন নাছিরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, কোরআনের মেহনতই পারে মানুষকে উভয় জগতে সম্মানিত করতে। একমাত্র কোরআন শিক্ষাই পারে সমাজ থেকে সন্ত্রাস ও অশান্তি দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে তাই তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে আরব বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও কোরআনের ব্যাপক চর্চার লক্ষ্যে কুরআনিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের আহ্বান জানান।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে বিশ্ব কোরআন প্রতিযোগিতার জন্য কুয়েত, ইরান, জর্দান ও দুবাই চারটি দেশের জন্যই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব লাভ করেছে মারকাজুত তাহফিজের ছাত্ররা। এছাড়াও এই মাদরাসার ছাত্ররা সৌদি আরবে সাতবার , মিসরে তিনবার, আলজেরিয়া দুইবার, লিবিয়ায় একবার, ইরানে পাঁচবার, কুয়েত একবার, কাতারে একবার, গাম্বিয়ায় একবার, বাহরাইন একবার, দুবাইয়ে দুইবার ও জর্দানে চারবার বিশ্ব কোরআন প্রতিযোগিতায় ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অধিকার করে।

(ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/জেবি)