ফেনীতে ছাত্রলীগ নেতা হত্যায় দুই দিনেও মামলা হয়নি

প্রকাশ | ২৮ মার্চ ২০১৭, ০৮:৩৩ | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৭, ০৮:৩৪

ফেনী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের তাকিয়া বাজার এলাকায় শনিবার রাতে প্রতিপক্ষের গুলিতে নুর আলম রিপন নামের এক ছাত্রলীগ নেতা নিহতের ঘটনায় দুই দিনেও মামলা হয়নি। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে দলীয় কয়েকজন নেতাকর্মীকে অতিথি না করার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে আটক করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ শনিবার রাতে বগাদানা ইউনিয়নের তাকিয়া বাজার এলাকায় ওসমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কাঙালিভোজের আয়োজন করে। এতে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ইউপি সদস্য মো. সেলিমসহ কয়েকজনকে অতিথি না করায় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একটি অংশ ক্ষুব্ধ হয়। শনিবার রাত দশটার দিকে ইউপি সদস্য সেলিমের নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকিয়া বাজারে জড়ো হয়। ১৫/১৬টি মোটর সাইকেল যোগে তারা মহড়া শুরু করে। তাকিয়া বাজার থেকে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আবার সেখানে ফেরার পথে মোটর সাইকেল বহরের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নুর আলম রিপন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কাঙালিভোজের অনুষ্ঠানস্থলে হামলা চালানো হয়। এসময় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়।

এদিকে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ নুর আলমকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে রাতেই সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইউপি সদস্য সেলিম, যুবলীগ কর্মী বেলায়েত হোসেন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী রুস্তম আলীকে গ্রেপ্তার করে।

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. পারভেজ জানান, বিনা উস্কানিতে সেলিমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা কাঙালিভোজের অনুষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর চালিয়ে খাবারে মুত্র ত্যাগ করে খাবারগুলো ফেলে দেয়।

ইউপি চেয়ারম্যান ক খ ম ইসহাক খোকন আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের অভিযোগটি অস্বীকার করে জানান, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে শনিবার রাতে সেলিমের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা মোটর সাইকেলে করে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় শোভাযাত্রা বের করে। তারা তাকিয়া বাজারে পৌঁছার আগ মুহূর্তে আলমপুরে সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর গুলি চালায়। কাঙালিভোজের অনুষ্ঠানে হামলার বিষয়ে তার কিছু জানা নেই বলেও তিনি জানান।

এদিকে নিহত নুর আলমের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে রবিবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাতেই জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। নিহত ছাত্রলীগ নেতা নুর আলম রিপন বগাদানা ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের সফিকুর রহমানের ছেলে।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির ছাত্রলীগ নেতা নিহতের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে সোমবার বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এখনো মামলা হয়নি।

(ঢাকাটাইমস/২৮মার্চ/প্রতিনিধি/জেবি)