ঈদুল আজহা পর্যন্ত হাজারীবাগে থাকতে চায় ট্যানারি

প্রকাশ | ২৮ মার্চ ২০১৭, ১৮:০৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

আগামী ঈদুল আজহা পর্যন্ত রাজধানীর হাজারীবাগে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সময় চেয়ে আবেদন করেছে ট্যানারির মালিকরা।

আজ মঙ্গলবার সকালে তারা হাইকোর্টে আবেদনটি করেন। বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়। আগামীকাল বুধবার আবার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী। তাদের সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার উপমা বিশ্বাস ও অ্যাডভোকেট স্বপ্নীল ভট্টাচার্য।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক। ট্যানারি সরিয়ে নেয়ার রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

গত ৬ মার্চ হাইকোর্টের ওই ডিভিশন বেঞ্চ এক আদেশে হাজারীবাগের ট্যানারিগুলো অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেন। কারখানাগুলোর গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে নির্দেশ দেন আদালত। পাশাপাশি ট্যানারি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে বলা হয়। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে গত ১২ মার্চ আপিল বিভাগও তা খারিজ করে দেন। ফলে ট্যানারি কারখানাগুলোর হাজারীবাগে থাকার আর কোনো সুযোগ নেই।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০১ সালে ট্যানারি শিল্প হাজারীবাগ থেকে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশ বাস্তবায়িত না হওয়ায় ২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্প অন্যত্র সরিয়ে নিতে ২০০৯ সালের ২৩ জুন হাইকোর্ট ফের নির্দেশ দেন। সরকারপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরে ওই সময়সীমা কয়েক দফা বাড়িয়ে ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। এরপরও ওই এলাকা থেকে ট্যানারি সরিয়ে নেয়া হয়নি। নতুন করে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাজারীবাগ থেকে যেসব ট্যানারি স্থানান্তর করা হবে না, ১ মার্চ থেকে ওই সব ট্যানারির গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।

এর আগে গত ২ মার্চ হাজারীবাগের ১৫৪টি ট্যানারি প্রতিষ্ঠানের কাছে জরিমানা বাবদ পাওনা ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এ বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদের এক আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন আদালত।

২০১৬ সালের ১৬ জুন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ১৫৪টি ট্যানারি কারখানাকে প্রতিদিন ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে ওই বছরের ১৮ জুলাই ১৫৪ ট্যানারি কারখানাকে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা থেকে কমিয়ে ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেয় আপিল বিভাগ। জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলেছিল আদালত। শিল্প সচিবকে এ বিষয়ে তদারক করতে নির্দেশ দেন আদালত।

(ঢাকাটাইমস/২৮ মার্চ/এমএবি/মোআ)