শহীদসংখ্যা বিতর্ক: খালেদার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা স্থগিত

প্রকাশ | ২৯ মার্চ ২০১৭, ১৭:৫৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে ‘বিরূপ মন্তব্য’ করায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে অভিযোগ আমলে নেওয়ার আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা কর হবে না, তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেন আদালত।

আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান কবির।

২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। আজকে বলা হয়, এত লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া দাবি করেন, ‘তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।’ খালেদা জিয়ার এসব বক্তব্যের প্রতিবাদ জানায় বিভিন্ন সংগঠন।

এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করে সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ও আওয়ামী লগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ড. মমতাজ উদ্দিন মেহেদি। পরে এই মামলায় তিনি নিম্ন আদালত থেকে জামিন নেন। মামলাটি পরে মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরিত হয়। ওই আদালত ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট মামলায় অভিযোগ আমলে নেয়। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আজ আদেশ দেন।

মামলায় বলা হয়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। এ ছাড়া জাতির পিতা ও আওয়ামী লীগ নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করেছেন তিনি। এটা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল বলে মনে করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনি নোটিশ দেওয়ার পরও তিনি ক্ষমা চাননি বা বক্তব্য প্রত্যাহার করেননি।

(ঢাকাটাইমস/২৯মার্চ/এমএবি/মোআ)