সাবেক বিচারপতি মানিককে আদালতে তলব

প্রকাশ | ২৯ মার্চ ২০১৭, ১৮:০৬ | আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৭, ১৮:০৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাকে রাজাকার বলায় আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আদালত তলব করেছেন। আগামী ২৫ মে তাকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ-সংক্রান্তে একটি মানহানির মামলায় বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম এ কে এম মাঈন উদ্দিন সিদ্দিকী এই আদেশ দেন।

এর আগে বুধবার সকালে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে মামলাটি করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এরফান উদ্দিন খান।

মামলায় বলা হয়, গত ১৫ মার্চ রাত ১১টায় বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসি নিউজে নবনিতা চৌধুরীর সঞ্চালনায় টকশো ‘রাজকাহন’ অনুষ্ঠানে সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ১৯৭১ সালে শান্তি কমিটির আত্মস্বীকৃত সদস্য ছিলেন। তিনি স্বাধীনতাবিরোধী এবং একজন রাজাকার। ওই টকশোতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও বিএনপিদলীয় আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন। প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে সাবেক একজন বিচারপতির এমন মন্তব্য দেশের সর্বোচ্চ আদালতের ভাবমূতি ক্ষুণ্ন করেছে।

একই অভিযোগে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য গত ১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এখলাছ উদ্দিন ভুঁইয়া লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। গত ২৭ মার্চ আইনজীবী মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের মাধ্যমে ওই নোটিশের জবাব দিয়ে বিচারপতি মানিক জানান, তার বক্তব্য প্রত্যাহারের প্রশ্নই আসে না।

জবাবে বলা হয়, ‘ইহা সত্য যে সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক গত ১৫ মার্চ বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশো ‘রাজকাহন’-এ বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা ১৯৭১ সালে কুখ্যাত শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন বলে উল্লেখ করেছিলেন। ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সাবেক বিচারপতি মানিকসহ মোট চারজন বিচারপতির সমন্বয়ে যুদ্ধাপরাধী মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের আপিল শুনানিকালে বিচারপতি সিনহা নিজেই প্রকাশ্য আদালতে স্বীকার করেছেন যে, ১৯৭১ সালে তিনি শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন। এটা প্রধান বিচারপতির নিজস্ব মতামত। ওই সময় জনাকীর্ণ আদালতে বিপুলসংখ্যক সাংবাদিক, আইনজীবী এবং বিচারপ্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি একপর্যায়ে আদালতে আরও বলেছিলেন, ‘তিনি নিজেও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জন্য কাজ করেছেন। ওই আত্মস্বীকৃত বক্তব্য পরের দিন  ২০১৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। এ মর্মে স্বীকারোক্তির পর বাংলাদেশের কোনো আদালতে তিনি বিচারক হিসেবে থাকতে পারেন না।’
(ঢাকাটাইমস/২৯মার্চ/মোআ)