শেষ মুহূর্তে জমজমাট ফুলমেলা

প্রকাশ | ০১ এপ্রিল ২০১৭, ১৬:০১ | আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৭, ১৬:১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীতে দ্বিতীয়বারের মতো হয়ে গেল ফ্লাওয়ার ফেস্ট। শেষ দিন হওয়ায় মেলায় অন্যদিনের চেয়ে ভিড় একটু বেশি ছিল। আয়োজকরাও দর্শনার্থীদের নানা তথ্য উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করছেন। যেসব স্টলে ফুল বিক্রি হচ্ছে সেখান থেকেও দর্শনার্থীরা মোটামুটি কম দামেই ফুল কিনছেন।

শনিবার সকালের পর থেকে রোদের কারণে শেষ দিনের মেলায় আসলেও অনেককে দ্রুত বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ত্যাগ করতে দেখা গেছে। যদিও আয়োজকরা বলছেন, শেষ দিন হওয়ার বিকালে অন্যদিনের চেয়ে ভিড় বেশি হবে।

গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হয় তিনদিনব্যাপী ফ্লাওয়ার ফেস্ট। অন্যান্য দিনের মত আজও সর্বসাধারণের জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকছে রাত ৮টা পর্যন্ত।

আয়োজকরা বলছেন, দেশি ফুলের সঙ্গে সব বয়সী মানুষকে পরিচিত করাই তাদের মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি চাষিদের নিজেদের ফুলও এখানে নিয়ে আসার সুযোগ পাচ্ছে। ফলে ক্রেতারা কোনো ধরনের কেমিকেল ছাড়াই সরাসরি বাগানের ফুল কিনতে পারছেন।

ফুল উৎপাদক, ব্যবসায়ী (পাইকারি ও খুচরা), ফুল খাত সংশ্লিষ্ট সংগঠন, সাজসজ্জা বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান (ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট) অংশ নিয়েছে। মেলায় ১৪টি প্যাভিলিয়ন ও ৩৩টি স্টল আছে।

ইনোভেশন অ্যান্ড ইনকিউভেশন সেন্টার ফর এন্টারপ্রাইজেসের (আইআইসিই) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ মেলা। সহযোগিতায় রয়েছে ইউএসএআইডি, বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি (বিএফএস), শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি (বিপিএস) ও দেশিফুল ডটকম।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরে দেখা গেছে, লাইন ধরে সব বয়সী মানুষ ভেতরে ঢুকছেন। ভেতরে ঢুকেই বিভিন্ন স্টলে ঢু মারছেন। নানান রঙ বেরঙের ফুল ধরছেন, কেউ আবার কিনে হাতে নিয়ে ঘুরছেন। বিশেষ করে তরুণীরা বেশি আগ্রহ নিয়ে ফুল কিনছেন, কেউ আবার ফুলের গাছ কিনছেন। অনেকে ফুলের মুকুট মাথায় পড়ে ছবি তুলছেন, সেলফি তুলছেন।

পরিবার পরিজন নিয়ে যেমন অনেকে আসছেন, তেমনি বন্ধু-বান্ধবী, প্রিয় মানুষকে নিয়ে ঘুরছেন ফুল মেলায়। কয়েকজনকে দেখা গেলো প্রিয়জনের চুলে ফুল গুজে দিতে। পরে বিভিন্ন ফ্রেমে  আনন্দস্মৃতি ধরে রাখতে ছবি তুলে রাখছেন।

কথা হয় ধানমন্ডি থেকে আসা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া নাহিয়ান এবং কানিজের সঙ্গে। ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এত সুন্দর আয়োজন না আসলে বুঝতাম না। দুজনের আসা নিয়ে একটু ঝামেলা ছিলো কিন্তু এসে মনটা ভালো হয়ে গেছে।’ মেলার প্রচার আরও বেশি হলে দর্শনার্থী বেশি হত বলেও মনে করেন তারা।

তাদের পাশেই কথা হয় সরকারি চাকরিজীবী একেএম ফিরোজুর রহমানের সঙ্গে। স্ত্রী, কন্যা ও নাতনীকে নিয়ে এসেছেন কলাবাগান থেকে। কেমন লাগছে জানতে চাইলে বললেন, এত বয়স হয়েছে এমন আয়োজন আগে দেখিনি। পত্রিকায় দেখে আসলাম, খুব ভালো লাগছে। তবে গরমটা খুব বেশি।

পাশে দাঁড়ানো তার স্ত্রী বলেন, ‘খুব সুন্দর পরিবেশ। না আসলে মিস করতাম।’

আইআইসিইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজউদ্দিন মোশাররফ ঢাকাটাইমসকে বলেন, মেলায় এক হাজারেরও বেশি প্রজাতির ফুলের প্রদর্শনীর পাশাপাশি রয়েছে ফুলের ওপর ফ্যাশন শো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ফুড জোন, কিডস কর্নার, কর্মশালা, ফ্লাওয়ার ল্যান্ডস্ক্যাপিং, ফটো বুথ, ফ্লাওয়ার টানেল ও গোলটেবিল।

এছাড়াও শিশুদের জন্য থাকছে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। শিশুদের শিক্ষামূলক আনন্দ দিতে মেলায় রয়েছে সিসিমপুর।

মেলা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে।

(ঢাকাটাইমস/১এপ্রিল/বিইউ/জেডএ)