কারাগারেই থাকতে হচ্ছে কোকেন ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদকে

প্রকাশ | ০২ এপ্রিল ২০১৭, ১৪:২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

চট্টগ্রাম বন্দরে বিপুল পরিমাণ তরল কোকেন আটকের মামলায় খানজাহান আলী গ্রুপের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদের জামিন খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ররিবার এই আদেশ দেন। এর ফলে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে এই ব্যবসায়ীকে।

গত বছর ১৫ জানুয়ারি অভিযান চালিয়ে নূর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

আদালতে নূর মোহাম্মদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার, এ এম আমিন উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী।

এর আগে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ নূর মোহাম্মদের জামিন  খারিজ করে দেন। পরে হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেন নূর মোহাম্মদ।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৫ সালের ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনার আটক করে সিলগালা করে দেয় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

বলিভিয়া থেকে মেসার্স খান জাহান আলী লিমিটেডের নামে আমদানি করা সূর্যমুখী তেলবাহী কনটেইনারটি জাহাজে তোলা হয় উরুগুয়ের মন্টেভিডিও বন্দর থেকে। সেখান থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে ওই বছরের ১২ মে পৌঁছায় চট্টগ্রাম বন্দরে। পরে আদালতের নির্দেশে কন্টেইনার খুলে ১০৭টি ড্রাম থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বন্দরের পরীক্ষায় কোকেনের উপস্থিতি না মেলায় ঢাকার বিসিএসআইআর এবং বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে তরলের নমুনা পুনরায় পরীক্ষা করা হয়। দুই পরীক্ষাগারেই তরল কোকেনের অস্তিত্ব ধরা পড়ে।

এ ঘটনায় ওই বছরের ২৮ জুন চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ও কর্মচারী গোলাম মোস্তফা সোহেলকে আসামি করে মাদক আইনে একটি মামলা করে পুলিশ। পরে আদালত মামলাটিতে চোরাচালানের ধারা সংযোগের নির্দেশ দেয়।

গত বছর ১৯ নভেম্বর এ মামলায় আটজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (দক্ষিণ) মো. কামরুজ্জামান। এতে ৫৮ জনকে সাক্ষী করা হয়।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান ‍নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয় অভিযোগপত্রে। কিন্তু এজাহারভুক্ত প্রধান আসামির নাম অভিযোগপত্রে না থাকায় চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম রহমত আলী তা গ্রহণ না করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কমকর্তাকে দিয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য র‌্যাবকে দায়িত্ব দেন।

(ঢাকাটাইমস/০২ এপ্রিল/ এমএবি/ জেডএ)