ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দোকান-ভ্যানের দখলে

প্রকাশ | ০২ এপ্রিল ২০১৭, ১৮:৪৫

শাহান সাহাবুদ্দিন, গাজীপুর

গাজীপুর মহানগরীর দীঘিরচালা, তেলীপাড়া ও বারবৈকা এলাকায় কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কের জায়গা দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা ও দোকান  নির্মাণ  করেছে। এই অসাধু চক্রটি ফুটপাত ও ড্রেনের ওপর দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়াও দিয়েছে। ফলে সাধারণ লোকজনকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়েই মহাসড়কের ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ওই এলাকাগুলোতে পানি নিষ্কাশনের জায়গা বেহাত হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই চরম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে নগোপাড়া পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার মহাসড়কের উভয় দিক দখল করে হাজারো ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ডভ্যান ও কার্গো দিন-রাত পার্কিং করা থাকে। ফলে এই তিন কিলোমিটার মহাসড়কের ফোর লেনের মতো টু লেন দখল হয়ে রয়েছে। এ কারণে নিত্য দিন যানজট ও দুর্ঘটনা লেগেই থাকে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশে দীঘিরচালা, বারবৈকা ও তেলীপাড়া এলাকায় অনেকেই ফুটপাত ও পানি নিষ্কাশনের নালা দখল করে সেমিপাকা ও টিনশেডের দোকানঘর তৈরি করে ভাড়া দিয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে পোল্ট্রি ফিড, টায়ার-টিউব ও গাড়ির চাকা মেরামতের ভলকানাইজিং ওয়ার্কসপ, বাঁশ ও  চা-বিস্কুটের দোকান। এদের অনেকেই আবার মহাসড়কও দখল করে আছে। ফলে ওই এলাকায় যানবাহন ও পথচারীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে।

এলাকাবাসী জানায়, মহাসড়ক সংলগ্ন জমির মালিকরা অবৈধভাবে ফুটপাত ও ড্রেনের ওপর দোকান তুলে মোটা অংকের জামানত নিয়ে প্রতি মাসে দোকান প্রতি পাঁচ হাজার টাকা থেকে পনের হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করছে। ওই এলাকাগুলোতে অনেক পোশাক কারখানা, সরকারি-বেসরকারি অফিস ও স্কুল-কলেজ রয়েছে। ফলে রাস্তা ও ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতকারী লোকজনকে বেশ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এসব কারণে ওই এলাকাগুলোতে প্রায়ই দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটছে।

গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ডি এ কে এম নাহীন রেজা ঢাকাটাইমসকে জানান, গাজীপুর মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে। তাছাড়া গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেও নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে গাজীপুর জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন এবং সড়ক ও জনপথের সম্মিলিত উদ্যোগেই জোরালোভাবে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব বলেও তিনি জানান।

গাসিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম জহিরুল ইসলাম বলেন, মেয়রের নিদের্শনা পেলে ফুটপাত ও মহাসড়ক দখলমুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করা যাবে।

(ঢাকাটাইমস/২এপ্রিল/আঞ্চলিক প্রতিনিধি/এলএ)