নাগেশ্বরীর চরাঞ্চলে ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

প্রকাশ | ০৫ এপ্রিল ২০১৭, ০৯:১৬ | আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৭, ১০:০১

সাইফুর রহমান, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর নারায়ণপুরের চরাঞ্চলের চাষীরা ভুট্টাচাষে ঝুঁকে পড়েছেন। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এই এলাকার চাষীরা ব্যাপকহারে ভুট্টা চাষ করছেন। আবহাওয়া ভালো থাকলে ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। পাশাপাশি আশানুরূপ দাম না পাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে তাদের মধ্যে।

জাতীয় খাদ্যের চাহিদা মেটাতে ধান ও গমের পাশাপাশি হাইব্রিড জাতের ভুট্টাচাষ এই এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নারায়নপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার গাঢ় সবুজ সমারোহ জানিয়ে দিচ্ছে ভুট্টা চাষের অস্তিত্বের কথা। এছাড়া চারপাশের মাঠগুলোতেও একই রকম সবুজের সমারোহ দেখা যাচ্ছে।

ভুট্টার মাঠে কথা হলো জয়নাল আবেদীন নামে এক কৃষকের সঙ্গে। আবাদ কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে বলেন ‘এবারই প্রথম তিন একর জমিত ভুট্টা চাষ করোছি। আশা করোছি ভালোই ফলন হবি।’ কৃষি অফিসের সহযোগিতা পেলে ফলন আরও বেশি হবে বলে বিশ্বাস তার।

জয়নালের মতো ওই এলাকার আব্দুল মান্নানও ভুট্টা চাষ করেছেন। তিনিও এবারই প্রথম ভুট্টা চাষ করছেন। ঢাকাটাইমসকে মান্নান জানান, ‘ধানোও বেশি খরচ হয়। তাই ভুট্টা চাষ করোছি। ভুট্টাত খরচও অনেক কম। আশা করোছি ভালোই লাভ হবি। তবে দাম ঠিকভাবে পামো কিনা না এটা নিয়ে একটু চিন্তাত আছি।’

তাদের মতো আরও অনেককেই ভুট্টা চাষ করে সাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। ফসলের চেহারা দেখে তাদের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত আশানুরুপ ফল পাবেন কিনা এ নিয়ে সন্দিহান তারা।

কৃষকরা জানান, জমিতে পানি সেচের জন্য ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিন ও বিদ্যুৎ না থাকায় চড়ামূল্যে সোলার প্যানেলের মটরচালিত পাম্প দিয়ে সেচ দেয়া হয়। এতে তাদের খরচের হার একটু বেশি।

কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসসহ সংশ্লিষ্টরা কৃষকের দ্বারে দ্বারে এসে ভুট্টা চাষের প্রয়োজনীয় উপকরণ তুলে দিলেও ভুট্টা চাষ শুরুর পর কোনো অফিসার তাদের ক্ষেত পরিদর্শন করতে আসেনি। দুর্গম এই চরাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় মৌসুম শেষে ভুট্টা বিক্রি নিয়ে চিন্তিত তারা। দেশের বিভিন্নখাতে ভুট্টার পর্যাপ্ত চাহিদা থাকলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে নায্যমূলো পেতেও তাদের ভেতরে শঙ্কা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মাসুদুর রহমান সরকার জানান সময়মত কৃষি পরামর্শ ও কৃষিসামগ্রী পৌঁছানোর ফলে এবং ভালো আবহাওয়ার কারণে ভুট্টার ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি।

ঢাকাটাইমস/৫এপ্রিল/প্রতিনিধি/এমআর