অরক্ষিত কাউখালীর বধ্যভূমি

প্রকাশ | ০৭ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:৫৬

সৈয়দ মাহ্ফুজ রহমান, পিরোজপুর

পিরোজপুরের কাউখালীতে একাত্তরের গনহত্যার সেই বধ্যভূমি আজ অরক্ষিত, অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে রয়েছে।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় জেলার কাউখালীর স্টিমার ঘাটের পাইলট হাউজ সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীর তীরে অসংখ্য নিরাপরাধ মানুষকে ধরে এনে পাক হানাদারা বাহিনী নির্যাতন শেষে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিত। সময়ের বিতর্তনে সেই বধ্যভূমি আজ অরক্ষিত, অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে রয়েছে। নেই শহীদদের তালিকাও।

মহান স্বাধীনতার দীর্ঘদিন পর পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মম হত্যার শিকার হওয়া শহীদদের স্মরণ ও স্মৃতি রক্ষায় কাউখালীর স্টিমারঘাট সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীর তীরে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হলেও অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে রয়েছে। সেই বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভে শহীদের তালিকা থাকার কথা থাকলেও তাদের নামের তালিকা অদ্যাবধি লিপিবদ্ধ হয়নি।

সারাদেশে সরকারিভাবে বধ্যভূমি রক্ষার কথা থাকলেও কাউখালীর বধ্যভূমি রক্ষার জন্য প্রশাসনের কোন উদ্যোগ নেই।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মো. আলী হোসেন তালুকদার গণহত্যার সেই বধ্যভূমি অরক্ষিত, অবহেলিত স্বীকার করে ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে বেশ কিছুদিন পূর্বে স্মারকলিপি দিয়েছি এটি সংরক্ষণের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন বধ্যভূমির জন্য বাজেট দেয়ার। 

তিনি বলেন, পাক হানাদার বাহিনী বিভিন্ন স্থান থেকে ধরে এনে শতাধিক মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। কাউকে কুঠার দিয়ে কুপিয়ে দুই ভাগ করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করেছেন আমাকে আহবায়ক করে।

(ঢাকাটাইমস/৭এপ্রিল/প্রতিনিধি/এলএ)