মুফতি হান্নানকে তওবা পাঠ

প্রকাশ | ১২ এপ্রিল ২০১৭, ২১:০৮

গাজীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও তার এক সহযোগী বিপুলকে তওবা পাঠ করিয়েছেন  কাশিমপুর কারাগার মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মামুনুর রশীদ।  বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাদের তওবা পড়ানো হয়।

এই দুই জঙ্গির ফাঁসির রায কার্যকরের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। আজ রাত ১০ টার পর যেকোনো সময় তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হবে বলে জানা গেছে। আর সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসি কার্যকর হবে।

এক যুগেরও বেশি সময় আগে সিলেটে ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তিনজনকে হত্যার মামলায় তাদের মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় এসেছে সর্বোচ্চ আদালত থেকে।

ওই রায় পুনর্বিবেচনা এবং অপরাধ স্বীকার করে তাদের প্রাণভিক্ষার আবেদনও নাকচ হয়ে যাওয়ায় এখন কেবল ফাঁসি কার্যকরের অপেক্ষা।  

বুধবার সকালে মুফতি হান্নানের  স্ত্রী জাকিয়া পারভীন রুমা, মেয়ে নাজনীন এবং নিশি এবং ভাই আলীউজ্জামান দেখা করতে আসেন কাশিমপুর কারাগারে। তখনই মুফতি হান্নানকে জিজ্ঞাসা করা হয় তার কিছু খাওয়ার  ইচ্ছা আছে কি না।   তখন মুফতি হান্নান কিছু খেতে চাননি। পরে কারাগারের নিয়মানুযায়ী সন্ধ্যায় তাকে সাদা ভাত, সবজি ডাল খেতে দেওয়া হয়েছে।

কারাগারের একটি সূত্র জানিয়েছে, মুফতি হান্নান এবং তার সহযোগি বিপুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে জল্লাদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কয়েদী রাজু এবং সাকু মিয়া। এছাড়াও সিলেট কারাগার থেকে জল্লাদ ফারুককে আনা হয়েছে কাশিমপুর কারাগারে। এরইমধ্যে ফাঁসির মহড়াও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার মুফতি আবদুল হান্নানের পরিবারের সদস্যদের বিদায়ী স্বাক্ষাতের জন্য চিঠি দিয়েছিল কারা কর্তৃপক্ষ। এর আগে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত এই তিন জঙ্গির প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ গত সোমবার কারাগারে পৌঁছায়।

কারাগার এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কারাগারের মুল ফটক থেকে দুইশ গজের মধ্যে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কারাগারের সামনে এসে উপস্থিত হয়েছে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।  এছাড়াও কারাগারে দুইটি সাদা রংয়ের অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করেছে।

(ঢাকাটাইমস/১২এপ্রিল/এএ/জেডএ)