২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকায় মিলবে হার্টের রিং

প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০১৭, ১৯:০৮ | আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৭, ১৯:৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

হৃদরোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় করোনারি স্টেন্ট বা রিংয়ের মূল্য নির্ধারণ করতে যাচ্ছে জাতীয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। সর্বনিম্ন ২৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকায় মিলতে পারে প্রতিটি রিং।

মঙ্গলবার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান  সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

অভিযোগ রয়েছে, দেশের কয়েকটি হাসপাতালে ১৮ হাজার টাকার হার্টের রিং দেড় লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে। কিছু অসাধু চিকিৎসকদের কমিশন বাণিজ্যের কারণেই রোগীদের কাছ থেকে এ বাড়তি মূল্য নেওয়া হচ্ছে। ফলে রিংয়ের মূল দামের চেয়ে ১০ গুণের বেশি দিতে হচ্ছে রোগীকে।

মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এখন থেকে সব সরকারি হাসপাতালে বেঁধে দেয়া দামে স্টেন্ট বিক্রি হবে। এতে জনগণ ন্যায্য দামে স্টেন্ট পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।

দাম বেঁধে দেয়ার আগে সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ করছে ওষুধ অধিদপ্তর। তারা বিভিন্ন নিবন্ধিত ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে রিং-এর মূল্য প্রস্তাব নিচ্ছেন।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, এখন পর্যন্ত অধিদপ্তরের কাছে মাল্টিলাইন ভ্যাক্সিন, রেবিল, প্রিমিয়ার এলিমেন্ট ও ওরিয়েন্ট এক্সপোর্ট নামের চারটি প্রতিষ্ঠান তাদের করোনারি স্টেন্টের মূল্য প্রস্তাব করেছে। সেখানে নন মেডিকেটেড স্টেন্টের সর্বনিম্ন মূল্য ২৫ হাজার টাকা ও মেডিকেটেড স্টেন্টের মূল্য দেওয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।

তবে আরো ২১টি কোম্পানি ৪৭ ধরনের স্টেন্ট এনেছে, কিন্তু তারা এখনো কোনো মূল্য প্রস্তাব করেনি বলে জানান এই শীর্ষ কর্মকর্তা।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হানান, নিবন্ধিত  কোম্পানিকে এখন থেকে ওষুধের দাম, রেজিস্ট্রেশন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ করতে হবে।

ভারতে একটি স্টেন্টের মূল্য ৭ হাজার ২ রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ হাজার ৯০০ টাকা হয়। সেখানে বাংলাদেশে স্টেন্টের মূল্য অনেক বেশি হওয়ার ব্যাপারে মহাপরিচালক বলেন, ভারতে এগুলো উৎপাদন করা হয়। আর বাংলাদেশে পুরোটাই আমদানিনির্ভর।

স্টান্টের মূল্য নির্ধারণের জন্য গত ১১ এপ্রিল মতবিনিময় সভায় করোনারি স্টেন্ট বা হার্টের রিংয়ের খুচরা মূল্য নির্ধারণের জন্য  সব পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি গঠন করে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

ওই সভায় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের স্বাস্থ্য পরিচালক, স্বাচিপের সভাপতি,প্রায় সব সরকারি-বেসরকারি ক্যাথল্যাবের প্রধান, কার্ডিয়াক সোসাইটির সভাপতি, বেশ কয়েকজন ইন্টানভেনশন কার্ডিওলজিস্ট, আমদানিকারক সমিতির সভাপতি, এনবিআর ও কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

 (ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/বিইউ/মোআ)