প্রধানমন্ত্রীর ওই বৈঠক হেফাজতের সঙ্গে ছিল না: কামরুল

প্রকাশ | ২১ এপ্রিল ২০১৭, ১৫:৫৪ | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৭, ১৮:২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কওমি মাদ্রাসার শীর্ষ আলেমদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে বৈঠকে কওমির সর্বোচ্চ সনদের স্বীকৃতির ঘোষণা এসেছে, সেটা ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে ছিল না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সেদিন প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করেছিলেন কওমি মাদ্রসা শিক্ষাবোর্ডের সঙ্গে। তাদের কেউ কেউ ঘটনাচক্রে হেফাজতের সঙ্গেও সম্পৃক্ত।

শুক্রবার রাজধানীর উত্তরায় এক সমাবেশে খাদ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ’ শীর্ষক এক আলোচনার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামি পার্টি নামে ধর্মভিত্তিক একটি দল।

এই আলোচনায় কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদ দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমান দেয়ার প্রসঙ্গটিও তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

গত ১১ এপ্রিল গণভবনে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারাসিল আবারিয়ার চেয়ারম্যান আহমেদ শাহ শফীর নেতৃত্বে কওমি আলেমদের একটি দল গণভবনে যায়। সেখানে কওমি মাদ্রাসার আরও কয়েকটি বোর্ডের কর্তাব্যক্তিরাও অংশ নেন। ওই বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রী দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান দেয়ার ঘোষণা দেন।

আহমেদ মাহ শফীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ওই বৈঠকের ছবি প্রকাশের পর সরকার হেফাজতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে কি না-এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয় কানাঘুষা।

আহমেদ শাহ শফী কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাবোর্ডের প্রধান হলেও তার অন্য একটি পরিচয়ও আছে। ২০১০ সালে আহমেদ শাহ শফীকে প্রধান করে নারী নীতি বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রীক রাজনৈতিক দলগুলো। তখনই গঠন করা হয় হেফাজতে ইসলামী।

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজত কর্মীদের অবস্থান এবং দিনভর তাণ্ডবের ঘটনায় সংগঠনটি আলোচনায় আসে। এরপর থেকে গত চার বছর ধরেই হেফাজত প্রসঙ্গ গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার একটি বিষয়বস্তু।

হেফাজত নেতারা চাইছেন, দেশ চলবে ইসলামী চেতনার ভিত্তিতে। আধুনিক রাষ্ট্র ও বিচার ব্যবস্থার বদলে তারা কোনআন-সুন্নাহভিত্তিক শাসন কায়েম করতে চায়। 

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক পত্রপত্রিকায় সাংবাদিকরা লেখালেখি করছে যে আওয়ামী লীগ হেফাজতের সাথে বৈঠক করেছে। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল। প্রধামনন্ত্রীর ডাকে সবাই সম্মিলিতভাবে কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের সাথে বৈঠক হয়েছে।'

আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপিই হেফাজতকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের চেষ্টা করেছে বলেও মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'কওমি মাদ্রসা জঙ্গি, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে না। যারা জঙ্গি তারা ভুল শিক্ষা থেকে বিপথগামী হয়। কওমী মাদ্রাসা মূলত ইসলামের শিক্ষা আলো ছড়ায়।

আলোচনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে অনেক আগেও কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু ধর্ম সম্পর্কে না জেরেই অনেকে মন্তব্য করেন।

ঢাকাটাইমস/২১এপ্রিল/আইআর/ডব্লিউবি