ইমানি তাগিদেই কওমি স্বীকৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: কামরুল

প্রকাশ | ২১ এপ্রিল ২০১৭, ২১:২৪ | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৭, ২১:৩৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘সম্প্রতি কওমি মাদ্রাসার ১৪ লাখ শিক্ষার্থীকে মাস্টার্স সমমর্যাদার স্বীকৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এ নিয়ে সরকার ভোটের রাজনীতি করেনি। কেবল ইমানি তাগিদ থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’ তাই এ নিয়ে সমালোচনা না করার পরামর্শ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।

শুক্রবার বিকালে সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ মত-বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কামরুল এসব কথা বলেন।

কওমি মাদ্রাসা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘এর আগে কওমি মাদ্রাসা ছয়টি বোর্ডে বিভিন্ন উপদলে বিভক্ত ছিল। যার সবচেয়ে বড় অংশটির নেতৃত্বে ছিলেন আল্লামা শফী সাহেব। আর তাই এই শিক্ষাব্যবস্থাকে একটি প্লাটফর্মে নিতে দীর্ঘদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রী স্বীকৃতি দেয়ার প্রয়াসে ছিলেন। সর্বশেষ শফী সাহেব, গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গার মুফতি রুহুল আমিন ও ফরীদ উদ্দীন মাসঊদসহ কওমি মাদ্রাসার ছয়টি বোর্ডের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াতে একমত পোষণ করেছেন।’

কামরুল ইসলাম বলেন, ‘হেফাজতের আমির শফী সাহেব অন্য প্রতিনিধিদের মতোই একজন হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। আর তাদের একাত্মতার কারণেই কওমি মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ১৫ মে তাদের পরীক্ষার দিনও ধার্য করা হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এই উদ্যোগের অনেকেই সমালোচনা করেন যে, আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িক ও ধর্মান্ধ হয়ে গেছে। শেখ হাসিনা হেফাজতের কাছে চলে গেছেন। যা মোটেই ঠিক না। আওয়ামী লীগের আদর্শ ঠিক আছে। আর সেই আদর্শেই কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের স্বীকৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি নিয়ে শেখ হাসিনা ভোটের রাজনীতি করেননি। এটা কোনো ভোটের রাজনীতি না। আওয়ামী লীগ মাদ্রাসা নিয়ে ভোটের রাজনীতি করে না। ভোটের রাজনীতি করে বিএনপি।’ তাই এ নিয়ে সমালোচনা না করার পরামর্শ দেন মন্ত্রী। 

এসময় মন্ত্রী ভাকুর্তা ইউনিয়নের কয়েকটি মৌজায় রাজউকের জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তার অবস্থান পরিষ্কার করেন। তিনি বলেন, জনগণের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজই প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে করা হবে না। একই সাথে রাজউক কোনো ধরনের জমি ভাকুর্তা ইউনিয়নে অধিগ্রহণ করবে না বলেও এলাকার মানুষকে নিশ্চিত করেন তিনি। তবে তিনি জানান, কিছু জমি সরকার অধিগ্রহণ করবে যা অবৈধ দখলদারদের।

পরে মন্ত্রী বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়নের দিক তুলে ধরে আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পুনরায় নির্বাচিত করে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। একই সাথে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলে অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভাকুর্তা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল্ল্যাহ বেপারী।  এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব, সাভার উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর, ভাকুর্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, আমিনবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, ভাকুর্তা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেনসহ স্থানীয় নেতারা।

(ঢাকাটাইস/২১এপ্রিল/আইএ/জেবি)