ঢাবি ছাত্রসহ ভর্তি জালিয়াতি চক্রের চার সদস্য গ্রেপ্তার

দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জালিয়াতি চক্রের ‘মূলহোতা’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র রোকনসহ সংঘবদ্ধ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। একইসঙ্গে তাদের হাতে অপহৃত এক ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে র‌্যাব-১২ সিপিসি ৩ এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার বীণা রানী দাস জানান, সংঘবদ্ধ চক্রটি টাকার বিনিময়ে দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভুয়া পরীক্ষার্থী সেজে পরীক্ষা দিয়ে ছাত্র ভর্তির কাজ করে আসছে। ভর্তির পর কোনো প্রার্থী চুক্তি মোতাবেক টাকা দিতে না পারলে তাদের অপহরণ করে মুক্তিপণের মাধ্যমে টাকা আদায় করত তারা।

র‌্যাব জানায়, টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার খিলগাতী গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে সালেহ সৌরভ দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ওই জালিয়াত চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে এগ্রি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির সুযোগও পায়। কিন্তু সৌরভ ভাল বিষয়ে সুযোগ না পাওয়ায় ভর্তি হতে অস্বীকৃতি জানায়। চুক্তি মোতাবেক চার লাখ দিতে না পারায় জালিয়াতি চক্র গত ১৫ এপ্রিল টাঙ্গাইল সদর থানা এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বিষয়টি সৌরভের বাবা জানতে পেরে র‌্যাবকে জানায়।

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার নিউমার্কেট থানা এলাকার নীলক্ষেত থেকে মুক্তিপণ নেয়ার সময় ভর্তি জালিযাতি চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে ও অপহৃত সৌরভকে উদ্ধার করে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- নোয়াখালীর সুধারামপুর থানার এওজবালিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন রোকন, ইসমাইল হোসেন রুবেল, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার কাটালিয়া আটা গ্রামের আক্তারুজ্জামান খোকন এবং শ্যামলী মাস্টার পাড়ার জাকারিয়া সরকার।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানায়, ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে প্রথমে তারা মূল মার্কশিট, সার্টিফিকেট ও প্রবেশপত্রের মূল কপি নেয়। এরপর ফরম পূরণের আইডেন্টিফিকেশন নম্বর সংগ্রহ করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে ফটোশপের মাধ্যমে প্রবেশপত্রের ছবি পরিবর্তন করে একজন মেধাবী ছাত্র দিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করায়। এর বিনিময়ে ছাত্রদের কাছ থেকে চার লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা করা হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/২২এপ্রিল/প্রতিনিধি/জেডএ