মন্ত্রীর সফর নিয়ে উত্তেজনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪৪ ধারা

প্রকাশ | ২৩ এপ্রিল ২০১৭, ১১:১৮ | আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৭, ১৪:২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর আগমন ঠেকাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বানের মধ্যে সহিংসতার আশঙ্কায় চার উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। এগুলো হল বিজয়নগর, সরাইল, আশুগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং দেড় শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত অনাকাঙ্খিত কোনো ঘটনা ঘটেনি।

পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা কঠোর অবস্থানে আছি।

নব-নির্মিত উপজেলা প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে মন্ত্রী ছায়েদুল হক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে। উবায়দুল মোকতাদিরের অনুসারীরা এরই মধ্যে তার আগমন ঠেকাতে হরতাল ডেকেছে, করেছে লাঠি মিছিল।

সরকারি দলের দুই পক্ষের কোন্দলে বিব্রত প্রশাসন। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে চেষ্টা করছে তারা।

তবে আওয়ামী লীগের একাংশের ডাকে হরতালের মধ্যেই আজ প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর বিজয়নগর সফরের কর্মসূচি রয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ ও মহিলা লীগের নেত্রীদেরও বিজয়নগর যাওয়ার কথা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে মন্ত্রীর অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দেয়া হয়। সেই দিনই রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করা হয়। এর মধ্যেই শুক্রবার মন্ত্রীর নামফলক ভাঙচুর ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনা ঘটে। শনিবার রাতে এনিয়ে ১২০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় মামলা হয়।

রবিবার সকালে হরতাল আহ্বান করা হলেও বিজয়নগরের ওপর দিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আওয়ামী লীগের দুই নেতার মধ্যে নাসিরনগরের সংসদ সদস্য মন্ত্রী ছায়েদুল হক এবং সদর আসনের উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরোধের শুরু গত ইউপি নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে। পরে নাসিরনগর হামলায় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারকে দায়ী করেন মন্ত্রী। এরপর আরো স্পষ্ট হয় বিভক্তি।

এরপর আলাদাভাবে কাজ শুরু করেন ছায়েদুল-মোকতাদির। বেশকটি উপজেলা সফরে করেন মন্ত্রী। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার নবনির্মিত মৎস্য অফিস উদ্বোধনের পাশাপাশি সুধী সমাবেশের ডাক দেন ছায়েদুল হক। আর এসব কর্মসূচি প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে হরতাল ডাকেন মোকতাদির সমর্থকেরা।

ঢাকাটাইমস/২৩এপ্রিল/ডব্লিউবি