রক্ষা করা গেল না পাকনার হাওরটিও

প্রকাশ | ২৪ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:০৯ | আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:২৭

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

হাজারো মানুষের স্বেচ্ছাশ্রম আর নিরলস প্রচেষ্টার পরও শেষ রক্ষা করা গেল না সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার পাকনার হাওরটি। সোমবার ভোরে হাওরের উড়ারকান্দি এলাকায় বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় ওই এলাকার কয়েক হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে যায়।

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাহিদুল হক জানান, পানির প্রবল বেগ থাকায় কৃষকরা শত চেষ্টা করেও বাঁধটি রক্ষা করতে পারেননি।

স্থানীয়রা জানান, সুনামগঞ্জের সবগুলো হাওরের ফসল অকাল বন্যায় তলিয়ে গেলেও শনির ও পাকনার হাওরে এতদিন আঘাতটা লাগেনি। স্থানীদের স্বেচ্ছাশ্রম ও প্রশাসনের চেষ্টার পরও পানির প্রবল স্রোতে বাঁধটি রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে এর আগে তলিয়ে যায় মহালিয়া, বলদা, গনিয়াকুড়ি, সন্যাসী, মিথ্যারডুবা, লোবা, গুলাঘাট ও গুরমা বর্ধিতাংশের ছনার হাওর। এতে পাঁচ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে যায়। পানি দূষিত হওয়া মরে যায় হাজার হাজার হাঁস ও কয়েক মেট্রিক টন মাছ।

এদের হাওরের মধ্যে শনি ও পাকনার হাওর রক্ষা করতে ২৩ দিন ধরে স্থানীয় কৃষক, এলাকাবাসী, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের চেষ্টা চালায়। কিন্তু গতকাল রবিবার ভোরে সুনামগঞ্জের শনির হাওরের বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে। এতে হাওরের ৪০ শতাংশ জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়। আর আজ ডুবে যায় সর্বশেষ টিকে থাকা পাকনার হাওরটিও।

স্থানীয়রা জানান, পাকনার হাওরে প্রায় ২০ হাজার একর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল। এই হাওরে জামালগঞ্জ উপজেলার সদর, ভীমখালী ও ফেনারবাক ইউনিয়নের ৬০টি গ্রামের মানুষের জমি আছে।

ঢাকাটাইমস/২৪এপ্রিল/প্রতিনিধি/এমআর