ইউএনও’কে ফোন করে নিজের বিয়ে বন্ধ করলো স্কুলছাত্রী

প্রকাশ | ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ২৩:৫৮

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

 

‘স্যার, আমি এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। আমার বিয়ের বয়স হয়নি। আমি আরো পড়াশুনা করতে চাই। কিন্তু  আমার পরিবারের লোকজন জোর করে আমাকে বিয়ে দিচ্ছে। আমি বিয়ে করতে চাই না। আমার বাল্য বিয়েটি আপনি বন্ধ করুন’-এমন কথা জানিয়ে বুধবার বিকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছাদেকুর রমানের কাছে ফোন করে রতনা খাতুন (১৬) নামে এক কিশোরী। 

রত্না কালীগঞ্জ উপজেলার আড়পাড়ার বাক্কু মিয়ার মেয়ে। এরপর রাতে ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার। 

নির্বাহী অফিসার ছাদেকুর রহমান জানান, মেয়েটি বিকেলে বাল্য বিয়ে বন্ধ করার জন্য আমাকে ফোন করে। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমি মেয়েটির বাড়িতে যাই। পরিবারের লোকজনকে বুঝিয়ে তার বিয়ে বন্ধ করি। মেয়েটি লেখাপাড়া করতে চায়। 

সমাজের অন্য মেয়েরা যদি এভাবে বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় তাহলে একদিন এ উপজেলা বাল্য বিয়ে মুক্ত হবে। ইউএনও সাদেকুর রহমান আরো জানান, মেয়েটির সাহসিকতার জন্য তাকে পুরস্কৃত করা হবে। 

(ঢাকাটাইমস/২৭এপ্রিল/প্রতিনিধি/ইএস)