সুনামগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এখনও পায়নি ত্রাণ

প্রকাশ | ২৮ এপ্রিল ২০১৭, ১০:১৬ | আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৭, ১০:২৬

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবার গুলোতে এখনও কোনো প্রকার ত্রাণসামগ্রী পৌছায়নি। হাওরের চারপাশে এখন পানিতে থৈ থৈ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ঘরে এখন নেই কোনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি। জীবন বাচাঁনোর একমাত্র হাতিয়ার বোরো ধান হারিয়ে জেলার দ্বীপ সাদৃশ্য ছোট ছোট গ্রাম গুলোতে বসবাসকারী অসংখ্য কৃষক পরিবার গুলোর মাঝে  এখন বুকভরা দ্বীর্ঘশ্বাস।

জেলারতাহিরপুর,জগন্নাথপুর,দিরাই,শাল্লা,বিশ্বম্ভরপুর,ধর্মপাশা,মধ্যনগরসহ প্রতিটি উপজেলার হাওর গুলোতে ৯০ভাগ বোরো ধান পানিতে ডুবে যাওয়ায় হাজার হাজার কৃষক এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসেনি কেউই।

জেলায় ডিলারদের মাধ্যমে যে ওএমএস চাল দেওয়া হচ্ছে তাও প্রয়োজনের তুলনায় কম। সকাল থেকে সারাদিন লাইনে দাড়িয়ে থেকেও চাল পাচ্ছে না দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষ। প্রতিটি উপজেলা সদরে তিনজন ডিলার দিয়ে প্রতিদিন এক টন করে তিন টন চাল দেওয়া হয়। সারাদিন অপেক্ষা করে অনেকেই খালি হাতে বাড়ি ফিরছে। আবহাওয়া দূর্যোগপূর্ন থাকায় হাওর পাড়ের  কৃষক পরিবারগুলো জেলা ও উপজেলা সদরে এবং কাছাকাছি বাজারে যেতেও পারছে না। হাওর পাড়ের বেশির ভাগ পরিবারেই এখন হাতে নেই নগদ টাকা ও চাল। আর যে সব কৃষক পরিবারের কাছে নগদ টাকা আছে তারাই কেবল বাজারে যাচ্ছে।

হাওর ডুবির পরেও সরকারিভাবে কোনো সহায়তা না পাওয়ায় হাওর পাড়ের কৃষক পরিবার গুলোর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে জেলা ও উপজেলার বাজার সহ প্রতিটি বাজারেই চালের দোকান গুলোতে চাল নেই। অনেকেই কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বেশি দামে চাল বিক্রি করছেন।

অন্যদিকে জেলা ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিস, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ভিজিএফ কার্ডের নামের তালিকায় সঠিকভাবে যাচাই বাচাইয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এক-দুই দিনের মধ্যে জেলায় নামের তালিকা পাঠানো হবে।

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল জানান, ‘ক্ষতিগ্রস্থ হাওরবাসীর জন্য দ্রুত ত্রান সামগ্রী পাঠানো প্রয়োজন। ওএমএস চালের পরিমান আরও বাড়ানো উচিত।   

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ১৫ টাকা কেজির ৪৫ টি ওএমএস কেন্দ্র চালু আছে। আমরা কেন্দ্র দ্বিগুন করার জন্য প্রস্তাব করেছি। আটা কম চলে তাই চালের পরিমান বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি।    

(ঢাকাটাইমস/২৮এপ্রিল/প্রতিনিধি/এএইচ)