নলছিটিতে ২৫ একর জমিতে সূর্যমুখীর হাসি

ঝালকাঠি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ এপ্রিল ২০১৭, ১০:৩৩

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুশংগল ইউনিয়নের শেওতা গ্রামে প্রতিদিন বিকালে সূর্যমুখীর হাসি দেখতে নামছে মানুষের ঢল। গ্রামের কৃষক গোপাল কৃষ্ণ সাহা ২৫ একর জমি ইজারা নিয়ে করেছেন সূর্যমূখীর চাষ। পুরো জমি জুড়েই এখন শুধু ফুল আর ফুল।

এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, গোপাল কৃষ্ণ সাহার নিজের কোনো জমি নেই। তিনি পতিত থাকা ২৫ একর জমিটি একর প্রতি আটশ টাকা করে খন্ডকালীন চাষাবাদের জন্য ইজারা নিয়েছেন। পরে কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে গোপাল কৃষ্ণ সাহা সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা সহ উপজেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা তার এই চাষাবাদ মনিটরিং করছেন।

এক সময়ে খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ব্র্যাক দাতা সংস্থা ইউএসএইডর আর্থিক সহায়তা নিয়ে কৃষকদের সার, বীজ ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় সূর্যমূখীর চাষ করেছে। কিন্তু দুই বছর আগে দাতা সংস্থা প্রকল্পের সহায়তা প্রত্যাহার করে নেয়ায় সূর্যমুখীর চাষ মুখথুবড়ে পড়ে। তবে এ বছর নলছিটি উপজেলার গোপাল কৃষ্ণ সাহা এবং কাঁঠালিয়া উপজেলার অল্প কয়েকজন কৃষক স্বল্প পরিসরে সূর্যমুখীর চাষ করেছে।

গোপাল কৃষ্ণ সাহা জানান, প্রায় দুই লাখ টাকা ব্যয় করে তিনি ২৫ একর জায়গায় জিকে হাইব্রিড সুবর্ণা জাতের সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। এর আগেও তিনি স্বল্প পরিসরে সূর্যমূখীর চাষ করেছেন। তিনি আশা করেন, কোন প্রকৃতি যদি নিষ্ঠুর আচরণ না করে তবে এই চাষাবাদ থেকে তিনি দুই লাখ টাকা নীট আয় পাবেন।

কৃষ্ণ সাহা বিশাল এ জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন বলে মনে করছেন একই এলাকার কৃষক সোহরাব জোমাদ্দার।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেছেন, কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিকভাবে এই চাষাবাদে পরামর্শ এবং অন্যান্য সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।

(ঢাকাটাইমস/২৮এপ্রিল/প্রতিনিধি/এএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :