যেমন ছিল ট্রাম্পের একশো দিন

প্রকাশ | ২৯ এপ্রিল ২০১৭, ১৫:২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

দেখতে দেখতে সেঞ্চুরি করে ফেললেন মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে কম জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ, শনিবার ১০০তম দিনে পা রাখলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।

এই তিন মাস দশদিনে কি কি করলেন ট্রাম্প? অনেকগুলো প্রশ্নই ঘুরে ফিরে আসছে। প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কতটা সফল বা ব্যর্থ হলেন ট্রাম্প? শেষ পর্যন্ত আমেরিকা কোন পথে? আমেরিকাকে কি সত্যি মহান করে তুলতে পারবেন ট্রাম্প? এই কৌতুহল রয়েছে সবার। ট্রাম্প নিজে অবশ্য বলেছেন, ‘এসব টাইমলাইনের কোনও মানে হয় না। নেহাতই হাস্যকর।’ তারপরও মার্কিন মুলুকে স্বাভাবিক ভাবেই তার কার্যকাল নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়ে গিয়েছে কিছুটা আগে থাকতেই।

এই একশ দিনে ১৯বার ‘ট্রাম্প গল্‌ফ কোর্সে’ খেলতে গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ৬৬টি প্রশাসনিক নির্দেশ এবং বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন তিনি। ১১ জন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এদের মধ্যে রয়েছেন প্রথম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। ৭৪ দিন কাটিয়েছেন হোয়াইট হাউসে এবং ৯০০-রও বেশি টুইট করেছেন।

চলুন এক নজরে দেখা নেয়া যাক ট্রাম্পের প্রথম একশ দিন:

২০ জানুয়ারি, ২০১৭ প্রথমদিনই হোয়াইট হাউসে পা রেখেই ওবামা-কেয়ার বাতিলের প্রশাসনিক নির্দেশে সই করেন।

দ্বিতীয় দিন ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর মার্কিন মুলুকে ট্রাম্প বিরোধী সব চেয়ে বড় প্রতিবাদে সামিল হয় নারীরা।

চতুর্থ দিন খারিজ হয় ওবামা আমলের ১১টি দেশের সঙ্গে ট্রান্স-প্যাসিফিক বাণিজ্য চুক্তি।

ষষ্ঠ দিনে আবারও নিষেধাজ্ঞা। শরণার্থী রুখতে মেক্সিকো সীমান্তে দেওয়াল তোলার নির্দেশ দেন ট্রাম্প।

অষ্টম দিনে সাত মুসলিম দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। যার বিরোধিতা করায় তড়িঘড়ি  ছাঁটাই করা হয় অ্যাটর্নি জেনারেল। যদিও তিন দিনের মধ্যে নেই নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দেয় ফেডারেল কোর্ট।

১৬তম দিনে ওবামার বিরুদ্ধে ফোন-ট্যাপের নালিশ হোয়াইট হাউসের।

২৫তম দিনে রুশ-আঁতাঁতের অভিযোগ ওঠায় ইস্তফা দিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন।

৪০তম দিনে মানসিক  অসুস্থদের বন্দুক বিক্রি নয়, এই ওবামা-নীতির বিরোধিতায় বিলে সই করলেন ট্রাম্প।

৪৬তম দিনে সংশোধিত ‘মুসলিম-নিষেধাজ্ঞায়’ সই। এ বার ‘নিষিদ্ধ তালিকা’ থেকে বাদ ইরাক। যদিও ৫৬তম দিনে অনির্দিষ্টকালের জন্য খারিজ হয় ট্রাম্পের নতুন নির্দেশিকা।

৬৫তম দিনে ওবামা-কেয়ারের বিকল্প প্রস্তাব আনলেও, সমর্থন মিলেনি নিজ দলেই।

৬৮তম দিনে ওবামার ‘ক্লিন পাওয়ার প্ল্যান’ বাতিলের নির্দেশনা আসে।

৭৭তম দিনে ট্রাম্পের নির্দেশে ৫৯টি টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে সিরিয়ার বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।

৮১তম দিনে রুশ-মার্কিন সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু। সিরিয়া নিয়ে চুপ কেন পুতিন, জি-৭ শীর্ষ বৈঠকে তোপ যুক্তরাষ্ট্রের।

৮২তম উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে রওয়ানা হয় মার্কিন স্ট্রাইক গ্রুপ। ওই দিনই মার-আ-লাগো এস্টেটে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প।

৮৪তম দিনে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে লক্ষ্য করে আফগানিস্তানে মা-বোমা হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।

৮৯তম দিনে ‘মার্কিন পণ্য কিনুন, মার্কিন নিয়োগ করুন’ প্রশাসনিক নির্দেশে সই করেন ট্রাম্প।

(ঢাকাটাই/২৯এপ্রিল/জেএস)