কাসেম বিন আবু বাকারের কষ্ট প্রেমিকাকে না পাওয়া

প্রকাশ | ৩০ এপ্রিল ২০১৭, ১৭:৩৬ | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৭, ১৭:৫৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কাসেম বিন আবু বাকার। সম্প্রতি বিদেশের কয়েকটি মিডিয়ায় তাকে নিয়ে লেখা হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিপুল আলোচনায় আসেন তিনি। কেউ কেউ নানাভাবে তার সমালোচনা করছে। আবার তার সমর্থকেরও অভাব নেই। বিশেষ করে প্রেমকে উপজীব্য করে ইতিমধ্যে আশিটির বেশি উপন্যাস লিখেছেন ৮০ বছর বয়সী এই লেখক। আর এসব উপন্যাসের পাঠকও অনেক। প্রেমোপন্যাসের এই লেখকের জীবনও প্রেমসিক্ত। তার উপন্যাস ‘বিলম্বিত বাসর’-এর গল্প তার প্রথম প্রেমিকাকে নিয়ে। তার জীবনের বড় কষ্টও প্রেমিকাকে বিয়ে করতে না পারায়।

বেসরকারি টিভি চ্যানেল নিউজ ২৪-এ আজ রবিবার বিকাল ৪টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী তার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।

কাসেম বিন আবু বাকার তার প্রথম প্রেমের গল্পও তুলে ধরেন সাক্ষাৎকারে। প্রেমিকাকে না পাওয়ার কারণ প্রেমিকার আগেই বিয়ে হয় কাসেম বিন আবু বাকারের। বিয়ের ৩০ বছর প্রেমিকা রহিমার সঙ্গে দেখা হয় তার। রহিমা তার বাড়িতে নিয়ে আপ্যায়ন করান কাসেম বিন আবু বাকারকে। এখনো রহিমার সঙ্গে যোগাযোগ আছে তার।

রহিমার সঙ্গে ১৮ বছরের কাসেম বিন আবু বাকারের প্রথম দেখা হয় যেদিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। প্রথম দেখাতেই দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী রহিমার সঙ্গে হৃদয়ের যোগ ঘটে যায় তার। আর সে জন্য রহিমার ভূমিকা বড় ছিল। শিক্ষক কাসেম বিন আবু বাকার ক্লাসে ঢোকার পর সবাই দাঁড়িযে আবার বসেও যায়, কিন্তু রহিমা দাঁড়িয়েই ছিল। পরে তার এক বান্ধবী হাত টেনে তাকে বসায়।

তারপর দিনে দিনে তাদের প্রেম গভীর হয়। কিন্তু পরিবারের চাপের কারণে সেই প্রেম পরিণয় পর‌্যন্ত গড়ায়নি। কাসেম বিন আবু বকারকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয় অন্য মেয়ের সঙ্গে। কাসেম বিন আবু বাকারের সবচেয়ে বড় কষ্ট প্রেমিকাকে বিয়ে করতে না পারা। সেই কষ্ট এখনো খোঁচায় তার ভেতরে।

সাক্ষাৎকারে কাসেম বিন আবু বাকার তার লেখার উদ্দেশ্য, তার জনপ্রিয়তা, ভাবনা- এসব তুলে ধরেন। তার ভাষ্য, তার লেখায় কোনো অশ্লীলতা নেই। গল্পের প্রয়োজনে খারাপ কিছু এলেও তা প্রশমনের ব্যবস্থাও দিয়েছেন তিনি।

কাসেম বিন আবু বাকারের দাবি, তার বই পড়ে অশালীন ছেলে-মেয়েরা শালীন প্রেমের উপায় খুঁজে পেয়েছিল।

খ্যাতি-যশের পেছনে ছোটেননি জানিয়ে কাসেম বিন আবু বাকার বলেন, তিনি যদি ইসলামি লেখার বাইরে যেতেন, তাহলে অনেক বড় লেকক হতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা যেতে চাননি। নিজেকে এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে চেয়েছেন। তার মতে, ধর্ম কখনো সাম্প্রদায়িক হতে পারে না।

সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তিনি পশ্চিবঙ্গের হাওড়া এলাকা থেকে বাংলাদেশে আসেন ১৯৬৮ সালে। নিউমার্কেটের মল্লিক ব্রাদার্সে কাজ শুরু করেন। বইয়ের দোকানে থাকতে থাকতেই লিখতে শুরু করেন। সেই লেখা ইসলামি প্রেমের উপন্যাস হিসেবে বাজার সয়লাব হয়ে যায় আশির দশকে। ১৯৮৬ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তার ১০০টি বই প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে উপন্যাস ৮৫টি। আশি ও নব্বইয়ের দশকের হালকা প্রেমের চটুল গল্পের বইগুলো বিক্রিবাট্টার দিক থেকে তুঙ্গে পৌঁছে গেলেও একবিংশ শতাব্দীতে এসে আলোচনা থেকে হারিয়ে যান এই লেখক।

দেখুন সাক্ষাৎকারটি: 

(ঢাকাটাইমস/৩০এপ্রিল/এমইউ/মোআ)