ফরিদপুর প্রেসক্লাবে মে ফ্লাওয়ার

প্রকাশ | ০১ মে ২০১৭, ১৮:৫৭ | আপডেট: ০১ মে ২০১৭, ১৯:২৭

মফিজুর রহমান শিপন, ফরিদপুর

বছরের ১০ মাস মৃত! কাণ্ডটি শুকিয়ে যায়। অদ্ভুত জীবনচক্র! আফ্রিকায় যার পরিচিতি ‘ব্লাড লিলি’ নামে। জন্মের সঙ্গে জানান দেয় বর্ষপুঞ্জিতে তখন মে মাস। বাংলাদেশে এ ফুলের পরিচিতি ‘মে ফ্লাওয়ার’ বা ‘মে ফুল’ নামে।

সবুজ ডগায় পাতা ছাড়া ফুলটি ফোটে মে মাসে। ডিসেম্বর মাসে এই গাছটি মারা যায়। তবে মাটির নিচে আলুর মতো অংশ থেকে আবার ডগা গজিয়ে উঠে।

এ ফুল ২০১৩ সালে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের প্রয়াত সদস্য সালামত হোসেন খান শোভাবর্ধনের জন্য ক্লাবের মূল ফটকের সামনে দুই পাশে রোপন করেন। ফুল ফোটার সংবাদে ফুলপ্রেমীদের আগমনে ছিল উপচেপড়া। এক নজর দেখার জন্য অনেকেই দল বেঁধে ছুটে আসছে।

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের প্রবীণ সদস্য মাহফুজুল হক মিলন জানান, ২০১৩ সালের তার বাসা ফরিদপুর শহরের কমলাপুর এলাকা থেকে তারই বন্ধু সালামত হোসেন মে ফুল গাছের বীজ নিয়ে আসে। এরপর তিনি প্রেসক্লাবে তা রোপন করেন।

তিনি বলেন, সালামত বেঁচে থাকা অবস্থায় এ ফুল গাছের যত্ন নিতেন নিয়মিত। কাউকে ফুল কিংবা গাছ ছিঁড়তে দিতেন না। চারা রোপনের পর থেকেই প্রতি বছর মে মাসের প্রথমেই ফুলে ফুলে ভরে যায় ক্লাবের সামনের বাগানটি।

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল জানান, মে মাসে ফুটে আফ্রিকান ব্লাড লিলি। মে ফুল হাতের তালুতে স্পর্শে সুড়সুড়ি লাগে। দেখতে মৃদু লাল। শীর্ষে মনে হয়, হলুদের মুকুট। থোকায় থোকায় গোলাকার হয়ে ফোটে ফুল। মে মাসজুড়ে থাকে বাহারিরূপে। ফুলটির লিকলিকে কাণ্ডের মাথায় ঝাঁকরানো। কাণ্ডে অসংখ্য কাঁটা। তবে হাতে নিলে কোমল লাগে। গোলাকার দেখতে হওয়ায় একে বল লিলি বলা হয়। এছাড়াও পাউডার পাফ লিলি, আফ্রিকান ব্লাড লিলি নামেও পরিচিত। মে ফ্লাওয়ার গাছ এক থেকে দেড় হাত পর্যন্ত হয়ে থাকে। পাপড়ি ও পুংকেশর অসমান।

মে ফ্লাওয়ারের অস্তিত্ব প্রথম চোখে পড়ে আফ্রিকা মহাদেশে। আপন মেজাজেই প্রতি বছর এ ফুল জন্ম নেয় বলে জানান ইমতিয়াজ হাসান রুবেল।

প্রতিটি ফুল ১০-১২ দিন বেঁচে থাকে। তবে পর্যায়ক্রমে মে মাসজুড়ে থাকে এ ফুল।

(ঢাকাটাইমস/১মে/প্রতিনিধি/এলএ)