গর্ভকালীন অ্যান্টিবায়োটিকে বাড়ে গর্ভপাতের ঝুঁকি

প্রকাশ | ০৩ মে ২০১৭, ১২:০০

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

গর্ভকালীন প্রথম দিকে অনেক নারীই সংক্রামনজনিত বিভিন্ন জটিলতায় ভোগেন। সাধারণ সমস্যা মনে করে অ্যান্টিবায়োটিকের সাহায্যও নেন। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক সাধারণ অবস্থায় শরীরের জন্য ক্ষতিকারক না হলেও গর্ভাবস্থায় গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে বলে এক গবেষণায় জানা যায়।

কানাডার মন্ট্রিয়ল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা আট হাজার ৭০২টি গর্ভপাতের ঘটনা নিয়ে গবেষণা করেন। গর্ভপাতের সময় ভ্রুণের গড় বয়স ছিল ১৪ সপ্তাহ। দেখা গিয়েছে, এদের মধ্যে এক হাজার ৪২৮টি (১৬.৪ শতাংশ) ক্ষেত্রে গর্ভধারণে প্রাথমিক অবস্থায় অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া হয়েছিল। অংশগ্রহণকারীদের বয়স ছিল ১৫ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। সাধারণত বয়স একটু বেশির দিকে, অনেক শারীরিক সমস্যা রয়েছে ও একা থাকেন, এমন নারীদেরই অধিকাংশ ক্ষেত্রে গর্ভপাত হয়েছে।

গবেষকরা দেখেছেন, মারকোলিডস, কুইনোলোনস, টেট্রেসাইক্লিনস, সালফোনামাইডস ও মেট্রোনিডাজোলের মতো কিছু অত্যন্ত পরিচিত অ্যান্টিবায়োটিক এই ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। গর্ভকালীন সময়ে অনেক নারীই ইউরিনারি ট্র্যাক বা মূত্রনালীর সংক্রমণে ভোগেন। এরিথ্রোমাইসিন বা নাইট্রোফিউরানটন জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসায় ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা। এই ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকে গর্ভপাতের ঝুঁকি থাকে না।

এই গবেষণার প্রধান গবেষক অ্যানিক বেরার্ড বলেন, ‘গর্ভাবস্থায় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার প্রি-ম্যাচিওর বার্থ ও জন্মের সময় অতিরিক্ত কম ওজনের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত এই ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।’

কানাডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৩মে/জেএস)