জঙ্গিবাদ মূলোৎপাটন করাই শেখ হাসিনার চ্যালেঞ্জ: মতিয়া

প্রকাশ | ০৫ মে ২০১৭, ২১:১৬ | আপডেট: ০৫ মে ২০১৭, ২১:৪০

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘আজকে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সামনে চ্যালেঞ্জ দেশ থেকে জঙ্গিবাদের মূলোৎপাটন, দেশের মানুষের রুটি-রুজির নিশ্চয়তা দেয়া এবং পাশপাশি দেশে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করা।’

শুক্রবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে কাঁপুর ওমর আলী স্কুল মাঠে মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কাঁচপুর শিল্পাঞ্চল শ্রমিক লীগের সমাবশে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘হাওরে এতো বড় ঢল হয়েছে কিন্তু শেখ হাসিনা প্রতিটি মানুষের খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। উনি বলেছেন আপনাদের পাশে আছি। আমরা মোবাইল টেলিফোনের বিজ্ঞাপনে দেখি কাছে কাছে আছি পাশে আছি।’

মতিয়া বলেন, ‘শেখ হাসিনা কাছে আছেন, পাশে আছেন। হাওরের দুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে মমতাময়ী মায়ের মতো বুকে জড়িয়ে ধরে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। তিনি গণতন্ত্র রক্ষা করছেন, মানুষের অধিকার রক্ষা করছেন।’

মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা কি ভুলে গেছেন বিএনপির আগুন সন্ত্রাসের কথা। বাচ্চা নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিল মা সেই রিকশায় পেট্রলবোমা মেরে বিএনপির সন্ত্রাসীরা বাচ্চাকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। গাজীপুর জয়দেবপুর চৌরাস্তায় গ্রাম থেকে আসা এক লোক বাচ্চাকে নিয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। বাচ্চাকে একটি ভ্যানগাড়িতে বসিয়ে পরিবহন খুঁজছিলেন। কিন্তু বিএনপির সন্ত্রাসীরা ওই ভ্যানগাড়িতে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে বাচ্চাকে পুড়িয়ে মেরেছে। বাবার চোখের সামনে সন্তান আগুনে দগ্ধ হয় তখন একজন বাবার কী অবস্থা হয়।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সেই দিন আমি মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলাম বেগম খালেদা জিয়া আপনি যেভাবে দেশের সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করছেন এই পাপের প্রায়শ্চিত্ত আপনাকে করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার হচ্ছে শ্রমিকবান্ধব সরকার। অন্যান্য সরকার মালিকের পক্ষ হয়ে মজুরি নিয়ে শ্রমিকের সাথে দরকষাকষি করে। আর শেখ  হাসিনা শ্রমিকের পক্ষ হয়ে মালিকের সাথে মজুরি নির্ধারণ নিয়ে দরকষাকষি করে।’

মতিয়া বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকারই শ্রমিকের মজুরি ১৬০০ টাকা থেকে দুই ধাপে বাড়িয়ে ন্যূনতম মজুরি পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা নির্ধারণ করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘১৯৯১ সালে বিএনপির সরকারের সময় শ্রমিকরা মজুরির জন্য আন্দোলন করলে শ্রমিকদের দমনের নামে ১৮ জন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। ঠিক একইভাবে ২০০১ সালে শ্রমিককের ওপর নির্মম নির্যাতন করা হয়েছিল।’

কাঁচপুর শিল্পাঞ্চল শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান মেম্বারের সভাপতিত্বে সমাবেশ বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুবুর হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই,  জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্পাদক ইকবাল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধক্ষ ও সাদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মোল্লা, মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন, কাঁচপুর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক মিয়া প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/০৫মে/প্রতিনিধি/জেবি)