পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে পেটালেন শিক্ষক স্বামী

প্রকাশ | ০৬ মে ২০১৭, ২১:০৮

ভোলা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ভোলায় পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন স্কুলশিক্ষক স্বামী। শনিবার দুপুরে ভোলা পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের মো. শফিউদ্দিন আহমেদের ছেলে মো. শহিদুল্লাহর বাসায় ঘটে এ ঘটনা। শহিদুল্লাহর স্ত্রী তানিয়া বর্তমানে ভোলা সদর হাসাপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের ৬৪নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নির্যাতনকারী শহিদুল্লাহ ভোলা পৌর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

আহত তানিয়া বেগম জানান, ২০০৭ সালে সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ভোটেরঘর এলাকার আব্দুল বারেকের মেয়ের সাথে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মো, শফিউদ্দিন আহমেদের ছেলে শহিদুল্লাহর বিয়ে হয়। বিয়ের পর কিছুদিন সংসার সুখে কাটলেও দুই বছর না যেতেই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন শহিদুল্লাহ। স্ত্রী তানিয়া অনেক নিষেধ করার পরও শহিদুল্লাহ এই পথ থেকে ফিরে আসেননি। উল্টো তানিয়ার ওপর বিভিন্ন সময় অমানুষিক নির্যাতন চালান শহিদ। এমনকি বাসার কাজের মেয়ের সাথেও অনৈতিক কাজ করে শহিদুল ধরা পড়েন বলে দাবি স্ত্রীর।

তানিয়া জানান, সংসারে দুটি সন্তান থাকায় তাদের কথা চিন্তা করে তিনি বাড়াবাড়ি করেননি। সর্বশেষ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মারজিয়া নামের এক মেয়ের সাথে মোবাইলে কথা বলার সময় স্ত্রী তানিয়া বাধা দেন। এ সময় তাকে লাথিÑঘুষি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন শহিদুল্লাহ। পরে তার বাবা শফিউদ্দিন তানিয়াকে হাসপাতালে নিতে না দেয়ায় তানিয়া তার বাবার কাছে ফোন করেন। পরে তার বাবা ও ভাই এসে তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

তানিয়া আরও বলেন, তাকে মারধর করার পর তার সাথে ও আলমারিতে থাকা প্রায় পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার তার স্বামী নিয়ে যান। ছেলে মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে প্রায় ১০ বছর ধরে স্বামীর অত্যাচার সহ্য করছেন বলেও জানান তানিয়া।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক শহিদুল্লাহকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

(ঢাকাটাইমস/০৬মে/প্রতিনিধি/জেবি)