ঠাকুরগাঁওয়ে নারীকে নগ্ন করে নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশ | ১০ মে ২০১৭, ১৬:০৩

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি, প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে এক নারীকে নগ্ন করে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে ওই নারী ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় জগন্নাথপুর ইউনিয়নের গৌরীপুর গ্রামে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার মানুষ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ও নির্যাতনকারীদের বিচার দাবি করছেন।

একই সময়ে খোঁচাবাড়ী হাটের ব্যবসায়ী ও গৌরীপুর গ্রামের প্রমথ চন্দ্র রায়কেও তুলে নিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযোগের অঙ্গুলি ইউপি সদস্য আনিসুর রহমান, কেদারনাথ রায় ও নারী সদস্য মালেক বেগমের দিকে।

নির্যাতনের শিকার সদর উপজেলার দৌলতপুর মৌজার খোচাবাড়ি হাট এলাকার ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, তার একমাত্র সম্বল ভিটামাটির ওপর চেয়ারম্যানের চোখ পড়েছে। তিনি (চেয়ারম্যান) মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে ভিটে থেকে উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা করছেন।
ওই নারী বলেন, 'আওয়ামী লীগের ওই চেয়ারম্যান ও তিন মেম্বরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী  রবিবার রাতে আমাকে তুলে নিয়ে নগ্ন করে নির্যাতন করে। এ সময় দুই লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে আমাকে বাড়ি ছাড়তে বলে।'

ওই নারী আরো অভিযোগ করেন, 'মহিলা মেম্বার মালেকা আমাকে নগ্ন করে ইউনিয়ন পরিষদে মারধর করে। আর এই দৃশ্য দেখেন চেয়ারম্যান, পুরুষ মেম্বার আর যুবলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা।'

স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারীর ছোট মেয়ে জানায়, টিপসই দেয়ার নাম করে তার মাকে বাড়ি থেকে জোর করে নিয়ে যায় চেয়ারম্যানের লোকেরা।

এদিকে গৌরীপুর গ্রামের প্রমথ চন্দ্র রায়ের অভিযোগ, তাকেও একই সময়ে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয় এবং টাকা দাবি করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য আনিসুর রহমান ও কেদারনাথ রায় জানান, ওই দুজনের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে।

ঠাকুরগাঁও জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইন্দ্রনাথ রায় জানান, আইন কেউ হাতে তুলে নিতে পারে না। ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। অভিযোগ থাকলে তিনি পুলিশকে জানাতে পারতেন। শারীরিক নির্যাতন করা ঠিক হয়নি।

ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আলাল দাবি করেন, তারা ব্যভিচারের বিচার করেছেন। তিনি বলেন, হাজার-হাজার মানুষ ওই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।

ঠাকুরগাঁও থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাতে তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। এ ঘটনায় দুজন হাসপাতালে রয়েছেন। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১০মে/মোআ)