মির্জাপুরে সভাপতির অনুপস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই

প্রকাশ | ১৬ মে ২০১৭, ২১:২৯

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরপর দুইবার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তৃতীয়বারে কমিটির সভাপতির অনুপস্থিতিতেই মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দিনভর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলে। তবে বাছাই কার্যক্রমে উপস্থিত না হলেও বিকালে কমিটির সভাপতি স্থানীয় সাংসদ একাব্বর হোসেন পাশেই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল কার্যালয়ে বসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন।

এর আগে বাছাই কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কমিটির অন্য সদস্যরা অনাস্থা আনায় দুইবার যাচাই-বাছাইয়ের তারিখ দিয়েও অন্য সদস্য হাজির না হওয়ায় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

সরকার সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্তির আবেদনকারী ও অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের জন্য কমিটি গঠন করে দেয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি ও ২৪ এপ্রিল পর পর দুই দফায় যাচাই-বাছাই কার্যক্রম তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীন উপস্থিত থাকলেও কমিটির অন্য সদস্যরা সদস্য সচিবের উপর আস্থা না থাকা এবং নিরপেক্ষভাবে বাছাই কার্যক্রম না হওয়ার অভিযোগ এনে অনুপস্থিত থাকেন।

কমিটির সদস্যরা হলেন- সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি অধ্যক্ষ আলী আকবর খান, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের প্রতিনিধি মো. খলিলুর রহমান ও টাঙ্গাইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের প্রতিনিধি আব্দুস সাত্তার ভূইয়া।

এর মধ্যে কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন এমপি ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি আলী আকবর খান উপস্থিত ছিলেন না।

এদিকে সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, ২০ মের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করা না হলে ওই এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে। মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার পর তড়িঘড়ি করে তৃতীয়বারের মতো মঙ্গলবার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

প্রথম দিন উপজেলার ফতেপুর, মহেড়া, জামুর্কী, তরফপুর, লতিফপুর, বানাইল ও বাঁশতৈল ইউনিয়নের আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়।

সকাল দশটায় যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কমিটির সদস্যরা নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত না হওয়ায় সাড়ে ১১টার দিকে কার্যক্রম শুরু করা হয়।

সন্ধ্যা পর্যন্ত ৮৩ জন আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে বলে কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীন জানান।

কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের প্রতিনিধি কমিটির সদস্য মো. সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কমিটির সভাপতি সাংসদ মো. একাব্বর হোসেন বিকালে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে স্বাক্ষর করে গেছেন। তাছাড়া দুই ঘন্টা পরে আবার উপস্থিত হবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন উপস্থিত না থাকার বিষয়ে সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীনের কাছে সন্ধ্যায় জানতে চাওয়া হলে তিনি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি।

উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নের প্রায় ছয়শ ব্যক্তি অনলাইনে আবেদন করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৬মে/প্রতিনিধি/এলএ)