সাইফুরস কর্মীদের বেতন বকেয়া দেড় কোটি, বিক্ষোভ

প্রকাশ | ২০ মে ২০১৭, ১৫:৫৭

সিরাজুম সালেকীন, ঢাকাটাইমস

তিন মাসের বকেয়া বেতন আদায় করতে রাস্তায় নেমে এসেছেন কোচিং সেন্টার সাইফুরসের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আজ দুপুর একটায় ধানমন্ডি গ্রীনরোডে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বিক্ষোভরত কর্মীরা বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান প্রধান শামস আর ডলির অব্যস্থাপনার জন্য দীর্ঘ তিন মাস যাবৎ আমাদের বেতন বন্ধ।’

সাইফুরস কর্মীরা অভিযোগ করেছেন গত মার্চ থেকে আড়াই শ জনের বেতন বকেয়া রেখে রাজধানীর ধানমন্ডিতে (৭ নম্বর) চার কোটি টাকা ব্যয়ে বিলাস বহুল বাড়ি কিনেছেন। এছাড়া মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয় হোম করার জন্য প্রচুর টাকা পাঠাচ্ছেন। কিন্তু আমরা অনাহারে দিন কাটাচ্ছি। কেউ প্রতিবাদ করেলে তাকে চাকুরিচ্যুত করা হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক বিষয়ের শিক্ষক ফরহাদ মোল্লা বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর্যন্ত সাইফুরস কর্তৃপক্ষ ঠিকঠাক ভাবে শিক্ষকদের বেতন দিয়েছে। কিন্তু গত তিন মাস ধরে নতুন চেয়ারম্যানের অব্যবস্থাপনার কারণে কাউকে বেতন দিতে পারছে না সাইফুরস। পাশাপাশি আর্থিক সংকটের অভিযোগ তুলে অন্যায়ভাবে বেশ কয়েকজন শিক্ষককে বরখাস্ত করছে প্রতিষ্ঠানের বর্তমান চেয়ারম্যান।’
সাইফুরস প্রধান কার্যালয়ের বিসিএস শাখার ম্যানেজার আল-মামুন ঢাকা টাইমস কে বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ নিষ্ঠার সাথে পরিশ্রম করে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে কোম্পানির নতুন প্রধানের অব্যবস্থাপনা ও বিলাসিতাপূর্ণ জীবনের বলি হয়েছে চার শ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তিন মাসে প্রায় দেড় কোটি টাকা বেতন বকেয়া রয়েছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে বকেয়া বেতনের দাবিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করছি।’

প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলেন সাইফুরস তার আগের সুনাম এর মধ্যেই হারাতে বসেছে। নানান রকম সিদ্ধান্তহীনতা এবং ভুল সিদ্ধান্তের কারণে এখানকার শিক্ষার্থীরাও ভোগান্তিতে পড়েছে। ২০১৫ সালের শিক্ষা বর্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব চার্টার্ড সার্টিফাইড অ্যাকাউন্ট (এসিসিএ) শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ নোটিশ ছাড়া কোর্স বন্ধ করে দেওয়া হয় গত মার্চ থেকে। এখন তারা প্রতিনিয়ত অফিসে আসছে কোথায় ভর্তি হবে, কি করবে সে বিষয়ে কথা বলতে। কিন্তু সাইফুরস কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। আর কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এসব শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন হুমকির মুখে পড়েছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে সাইফুরসের প্রতিষ্ঠান পধান শামস আর ডলির মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

ঢাকাটাইমস/২০মে/সিসা/কেএস