এবার নরসিংদীতে ‘জঙ্গি আস্তানা’

প্রকাশ | ২০ মে ২০১৭, ১৯:৩৩ | আপডেট: ২০ মে ২০১৭, ২১:২৯

নরসিংদী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

এবার নরসিংদীতে ‘জঙ্গি আস্তানা’র সন্ধান পাওয়া গেছে। সদর উপজেলায় গাবতলীর উত্তরপাড়ার একটি বাড়ি  জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে শনিবার বিকাল থেকে ঘিরে রেখেছে র‌্যাব। তবে বাড়িটিতে কোনো জঙ্গি সদস্য আছে কি না তা জানা যায়নি।

একতলা ওই বাড়ির মালিক দুবাই প্রবাসী মুইনউদ্দিন আহমদ। এ ঘটনায় বাড়ির মালিকের বড় বড়ভাই জাকারিয়াকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

অভিযানের নেতৃত্বে থাকা র‌্যাব ১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, ‘জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ওই বাড়ি ঘিরে রাখা হয়েছে। আমরা পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি। রাতে অভিযান চালানো কষ্টদায়ক হবে। এলাকাবাসীর এবং সাধারণ লোকজনের নিরাপত্তার স্বার্থে সুযোগ বুঝে অভিযান চালাবো। যাতে অনাকাঙ্খিত কোনো ঘটনা না ঘটে।

নরসিংদীর পুলিশ সুপার বলেছেন, অভিযানটি পুরোপরি র‌্যাবের। আমরা তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছি। সেখানে আমাদের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাড়ির ভেতরে থাকা সন্দেহভাজন ভাড়াটিয়াদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে বাড়ির মালিক প্রবাসী মঈন উদ্দিন আহমেদের ছোট ভাই জাকারিয়াকে তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

শহর থেকে কিছু দূরে জামেয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসার কাছে একটি কবরস্থানের পাশে একতলা ওই বাড়িটি গত ৩ মে তিন অবিবাহিত পুরুষ ভাড়া নেন বলে ঘটনাস্থলে বাড়ির মালিকের ভাই জাকারিয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

গত এক মাসে ঝিনাইদহেও বেশ কয়েকটি জঙ্গি আস্তানার খোঁজ পায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এসব আস্তানা থেকে কেমিকেল কন্টেইনার, বোমা, সুইসাইড ভেস্ট, সুইসাইড বেল্টসহ বিপুল বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করার কথা জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এর আগে ১১ মে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার হাবাসপুরে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়িতে অভিযান পরিচালিত হয়। ওই অভিযানে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে পাঁচজন জঙ্গি এবং একজন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য। আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুই শিশুকে। জঙ্গিদের ‘আত্মঘাতী বিস্ফোরণের’সময় একজন নারী ও পুরুষ দৌড়ে গিয়ে কাছে থাকা ফায়ার সার্ভিসের একজন সদস্যকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গোদাগাড়ী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান আবদুল মতিন। আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হন ওই আস্তানার পাঁচজন।

২৭ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার জঙ্গি আস্তানায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে জঙ্গি রফিকুল ইসলাম ওরফে আবুসহ চারজন নিহত হয়।

(ঢাকাটাইমস/২০মে/প্রতিনিধি/এলএ/জেডেএ)