জিজ্ঞাসাবাদ ঠেকাতে হাইকোর্টে রেইনট্রির মালিক

প্রকাশ | ২২ মে ২০১৭, ১৪:২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দুই তরুণী ধর্ষণের অভিযোগে আলোচিত হোটেল ‘দ্য রেইন ট্রি’র মালিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের দেয়া নোটিশ এক মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরে জিজ্ঞাসাবাদ ঠেকাতে এর মালিকপক্ষে থেকে করা এক আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এই আদেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এই আদেশ দেন। আদেশে রেইনট্রির মালিকপক্ষকে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষের নোটিশের কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে।

আদালতে রেইনট্রি হোটেলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান।

গত ১৫ মে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে রেইনট্রি হোটেলের এমডি শাহ মোহাম্মদ আদনান হারুনকে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরে হাজির হয়ে তার হোটেলে পাওয়া মদের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এতে ১৬ মে অধিদপ্তরে হাজির হতে বলা হয়। কিন্তু ঝালকাঠির সংসদ সদস্য বিএইচ হারুনের ছেলে আদনান হারুন সেদিন অসুস্থতার কথা বলে হাজির হননি। পরে তার সময়ের আবেদন বিবেচনা করে ২৩ মে হাজির থাকতে বলা হয়।

হাজিরার নির্ধারিত দিনের আগের দিন শুল্ক গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ ঠেকাতে হাইকোর্টে রিট করেন রেইনট্রির এমডি শাহ মোহাম্মদ আদনান হারুন।

গত ৬ মে বনানী থানায় করা এক মামলায় এক তরুণী অভিযোগ করেন গত ২৮ মার্চ তাদেরকে জন্মদিনের দাওয়াতে আমন্ত্রণ দিয়ে হোটেল রেইনট্রিতে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের ছেলে সাফাত আহমেদকে প্রধান আসামি করে মোট পাঁচ জনকে আসামি করা হয় এই মামলায়। সব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এরই মধ্যে এবং তিন জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।

এই মামলার পর হোটেল রেইনট্রির নানা অনিয়মও বের হয়ে আসে। বনানী কে-ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বর প্লটে অবস্থিত রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই হোটেলটি স্থাপন করা হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আবার অনুমোদন না থাকলেও সেখানে মদ বিক্রির অভিযোগও এসেছে। গত ১৩ মে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর হোটেলটিতে অভিযান চালিয়ে কোনো মদ না পেলেও পরদিন শুল্ক গোয়েন্দারা পরদিন একটি পক্ষ থেকে ১০ বোতল মদ উদ্ধার করে।

হোটেলটিতে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগও আছে। গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভ্যাট নিবন্ধন নিলেও কোনো অর্থ পরিশোধ না করে হোটেল কর্তৃপক্ষ আট লাখ ১৫ হাজার টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে বলেও শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের অভিযোগ। এ বিষয়েও ব্যাখ্যা চেয়েছে তারা।

(ঢাকাটাইমস/২২ মে/এমএবি/ডব্লিউবি)