ভোলায় শিক্ষকের ওপর হামলা, শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

প্রকাশ | ২২ মে ২০১৭, ১৭:৪০

ভোলা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ভোলায় কমিটি নিয়ে শহীদ সালাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরল কুমার সরকারের ওপর হামলা চালিয়েছে একদল সন্ত্রাসী। এসময় সন্ত্রাসীরা স্কুলের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে ওই শিক্ষক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রবিবার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নে স্কুল চলাকালীন সময়ে প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

এই হামলার প্রতিবাদে সন্ত্রাসীদের বিচার দাবিতে সোমবার স্কুলের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন, মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেছে। এ হামলার ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, রবিবার সকালে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির মিটিং চলছিল। এ সময় স্থানীয় খোর্শেদ আলম, তাজুল ইসলাম, হাসান মাতাব্বর, আমির হাওলাদার, আলমগীর হাওলাদারসহ একটি সন্ত্রাসী বাহিনী স্কুলে প্রবেশ করে লাইব্রেরিতে ঢুকে প্রধান শিক্ষক সরল কুমারের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা প্রধান শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করার পর স্কুল থেকে বের করে দেয়। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক উদ্ধার করতে এলে তাদেরকে অস্ত্রের মুখে বাধা দেয়া হয়। এসময় সন্ত্রাসীরা স্কুলের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে চলে যায়।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, তারা এ হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর কেউ যেন না ঘটাতে পারে সে জন্য তারা আন্দোলন করছেন।

অভিযুক্ত খোরশেদ আলম হামলার ঘটনা অস্বীকার করে ঢাকাটাইমসকে বলেন, তিনি স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি স্থানীয় সুশীল সমাজের লোকজনকে নিয়ে করার জন্য বলেছেন। তাকে কোনো প্রকার মারধর করা হয়নি।

এ ব্যাপারে ভোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবির ঢাকাটাইমসকে বলেন, প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনাটি আমরা শুনেছি। এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২২মে/প্রতিনিধি/জেবি)