মদের ব্যাখ্যা দিতে শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে রেইনট্রির মালিক

প্রকাশ | ২৩ মে ২০১৭, ১১:১৮ | আপডেট: ২৩ মে ২০১৭, ১২:৩৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

অবৈধভাবে বিদেশি মদ রাখা ও শুল্ক ফাঁকির অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে হাজির হয়েছেন বনানীর হোটেল রেইনট্রির মালিক শাহ মোহাম্মদ আদনান হারুন।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার পর রাজধানীর কাকরাইলে সংস্থাটিতে হাজির হন তিনি। আদনান হারুনের সঙ্গে এসেছেন তার চাচা মুজিবুল হক কামাল, ফুফাতো ভাই হাসিব রুমী, ফুফা আকবর হোসেন মঞ্জু এবং তার আইনজীবী জাহাঙ্গীর কবির। এখন শুল্ক গোয়েন্দা মহাপরিচালকের কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

একই দিন আপন জুয়েলার্স থেকে জব্দ করা বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও হীরার বিষয়ে জবাব দিতে শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের।

সম্প্রতি রেইনট্রি হোটেলটি আলোচনায় এসেছে দুই তরুণীতে সেখানে ধর্ষণের অভিযোগ উঠার পর। গত ৬ মে করা একটি মামলায় এক তরুণী অভিযোগ করেছেন আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধু নাঈম আশরাফ তাদের আটকে রেখে ধর্ষণ করেছেন। এতে আরও তিনজন সহযোগিতা করেন। তার আগে জন্মদিনের পার্টিতে তাদের মদ খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগের পর মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা হোটেলটিতে তল্লাশি চালালেও কোনো মাদকদ্রব্য খুঁজে পায়নি বলে জানায়। তাদের অভিযানের ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই হোটেলটি থেকে ১০ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

শুল্ক গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভ্যাট নিবন্ধন হলেও কোনো অর্থ পরিশোধ না করে আট লাখ ১৫ হাজার টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে রেইনট্রি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া হোটেলটি থেকে ১০ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও তাদের মদ বিক্রির অনুমোদন নেই।

এসব বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে গত ১৫ মে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে রেইনট্রি হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদনান হারুনকে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরে হাজির হতে বলা হয়। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে তিনি সেদিন হাজির হননি। পরে তার করা সময় আবেদন বিবেচনা করে ২৩ মে হাজির থাকতে বলা হয়।

ঢাকাটাইমস/২২মে/এএ/এমআর