সাবেক কমিশনারকে ছেড়ে দেয়ায় তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব

প্রকাশ | ২৩ মে ২০১৭, ১৮:৩০

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মানবপাচার আইনের একটি মামলায় আসামি ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার হারুন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে ছেড়ে দেওয়ায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তলব করেছে আদালত।

সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়ারুল ইসলাম তলবের এই আদেশ দিয়েছেন।

তলবের আদেশে, ‘মামলাটিতে কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে কি না, হয়ে থাকলে আসামির বর্তমান অবস্থান কোথায় তার ব্যাখ্যা আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে ওই কর্মকর্তাকে দিতে বলেছেন বিচারক।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তার নাম মো. খুরশীদ আলম। তিনি গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদে কর্মরত আছেন।

জানা গেছে, হাজারীবাগের সাবেক কমিশনার হারুন চৌধুরীকে মামলাটিতে গ্রেপ্তারের পর সিআইডি কার্যালয়ে নিযে পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে বাদীর আইনজীবী দাবি করেন।

এ সম্পর্কে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু বলেন, আইনি বিধান অনুযায়ী গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে আসামি হাজির করতে হয়। যদি না করায় হয় তবে তা লিখিতভাবে আদালতকে জানাতে হবে। আসামি অসুস্থ হলে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। পুলিশ আসামিকে এভাবে ছেড়ে দিতে পারেন না। দিলেও তা আদালতকে জানাতে হবে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সালের শুরুর দিকে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে আম্বিয়া খাতুন নামের এক নারীর মাধ্যমে সাবেক কমিশনার হারুন চৌধুরীর বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজে দেন কিশোরীর বাবা। মাসে দুই হাজার টাকা বেতন দেয়ার কথা ছিল। কাজে যোগ দেওয়ার আট থেকে নয় মাস পর ২০১৬ সালের ২২ অক্টোবর কিশোরীর বাবা মেয়েকে ঈদে বাড়ি পাঠানোর জন্য হারুন ও তার স্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। তবে হারুনের মেয়ের স্বামী লিটন তাকে বলে দেন, কিশোরীটির ঈদে বাড়ি যাওয়া হবে না। পরে কিশোরীর বাবা ঢাকায় আসামিদের বাসায় এসে তার মেয়ের খবর জানতে চান। তখন তাকে আটকে রেখে তার কাছ থেকে জোরপূর্বক স্টাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। মেয়ের খোঁজ না পেয়ে কিশোরীর বাবা হাজারীবাগ থানায় মামলা করতে যান। থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নেওয়ায় তিনি ওই বছর ২৭ অক্টোবর আদালতে মানব পাচার আইনের ৭/৮ ধারায় একটি নালিশি মামলা করেন।

পরে আদালতের নির্দেশে আম্বিয়া খাতুন, হারুন চৌধুরী, তার স্ত্রী ও মেয়ে ও মেয়ে স্বামী লিটনের বিরুদ্ধে ওই বছর ৮ নভেম্বর মামলা নেয় হাজারীবাগ থানা। যার হাজারীবাগ থানার মামলা নং- ১০(১১)১৬। তবে পুলিশ গত ৭ মাসের তদন্তের পরও ভিকটিমের কোনো প্রকার সন্ধান করতে পারেননি।

(ঢাকাটাইমস/২৩মে/আরজে/জেডএ)