পাবনায় লোডশেডিং-গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত

প্রকাশ | ২৫ মে ২০১৭, ২২:৫০

খাইরুল ইসলাম বাসিদ, পাবনা

বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিং ও প্রচণ্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পাবনাবাসী। দফায় দফায় লোডশেডিংয়ে হাসপাতাল, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মিল কল-কারখানা, অফিস, আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বক্ষেত্রে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।

অন্যদিকে দিনের তাপদাহ ও রাতের ভ্যাপসা গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

এদিকে গরমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিদ্যুৎ ও পানির সংকট। প্রচণ্ড গরমে বাড়ছে ভাইরাসজনিত নানা রোগসহ দেখা দিয়েছে হিটস্টোক। হাসপাতালগুলোতেও বাড়ছে শিশু ও বয়ষ্কদের ভিড়। আর হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।

প্রচণ্ড গরমে কাহিল জনজীবন। হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত রোগী। পাবনার বিভিন্ন হাসপাতালে এক সপ্তাহে ভর্তি হওয়া রোগীর বেশিরভাগই ডায়রিয়া ও সর্দি জ্বরে আক্রান্ত। জেলা সদরসহ উপজেলা হাসপাতালে গত ১৫ দিনে শুধু বহিঃবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় এক হাজার রোগী। যা অন্য সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ, বলছেন চিকিৎসক।

পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টারনি চিকিৎসক ডা. সৌরভ হাসান বলছেন, বেড়েছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগের প্রকাপ। এক সপ্তাহে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই শতাধিক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী। সুস্থ থাকতে বেশি করে ডাব, স্যালাইন, বিশুদ্ধ পানি ও জুস খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।

এদিকে বিউবো এলাকার বাইরে পল্লীবিদ্যুতের আওতাধীন গ্রামাঞ্চলে আরও ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে।

পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর গ্রাহকেরা জানান, দিন-রাত মিলে প্রতিদিন প্রায় ৮ থেকে ১০ ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে। কোন কোন দিন আরও বেশি সময় ধরে লোডশেডিং হচ্ছে। এতে গ্রামাঞ্চলের ধানকল, কৃষিখামার, দুগ্ধখামার, পোল্টিখামাগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। লোডশেডিং স্বাভাবিক অবস্থায় না আনা হলে কৃষি এবং উৎপাদন খামারগুলো লোকসান খাতে পরিণত হবে বলে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা দাবি করেন।

অন্যদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণ সম্পর্কে পাবনা বিউবো অফিস জানায়, আশুগঞ্জ হয়ে সিরাজগঞ্জের গ্রিড সঞ্চালন লাইনের একটি টাওয়ার ভেঙে পড়ায় ১২শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়াও বিভিন্ন পাওয়ার স্টেশনে ওভার হোল্ডিংয়ের কারণেও সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। রাজশাহী ও দক্ষিণাঞ্চলে বিকল্প পথে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হচ্ছে। তবে রোজার আগেই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে পাবনা বিউবো সূত্র থেকে দাবি করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৫মে/প্রতিনিধি/এলএ)