চট্টগ্রামে নজিরবিহীন লোডশেডিং

প্রকাশ | ২৬ মে ২০১৭, ১০:০৩ | আপডেট: ২৬ মে ২০১৭, ১৪:৫০

ইব্রাহীম খলিল, চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামে লোডশেডিংয়ের মাত্রা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তীব্র গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লোডশেডিং বাড়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে নগরজীবন। লোডশেডিংয়ের মাত্রা এতটাই বেশি বিদ্যুৎ কখন আসে যায় তা অনেক সময় বোঝাই যায় না। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার তিন ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অনেক সময় বিদ্যুতের দেখা মেলে না, এমনকি কোনো কোনো এলাকায় ৬-৮ ঘণ্টাতেও আসে না বিদ্যুৎ। অনেক সময় বিদ্যুৎ আসলেও এর স্থায়ীত্ব থাকে দুই মিনিট থেকে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট পর্যন্ত।

বিদ্যুতের এমন পরিস্থিতিতে নাকাল হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম নগরবাসী। এজন্য অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

কথা হয় নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার হাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে। ৭৫ বছর বয়সী এই বৃদ্ধ বলেন, গত ১১-১২ দিন ধরে চট্টগ্রামে চলছে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড খরতাপ। তার ওপর গ্যাস ও বিদ্যুতের প্রবল সংকট। এ অবস্থায় চট্টগ্রামের নগরজীবনে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। গ্যাস-বিদ্যুতের এ তীব্র সংকটে অনেক এলাকায় পানিরও সমস্যা দেখা দিয়েছে।

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর শেখের বেটি হাসিনা দেশে এত বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করেছে, তাতে হাজার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। বিদেশ থেকে বিদ্যুৎ কিনে আনছে এসব বিদ্যুৎ এখন কোথায়।’

তার সঙ্গে সহমত পোষণ করেন খুলশী এলাকার বাসিন্দা জমির উদ্দিন ও চকবাজার কাপাসগোলা এলাকার হাজী ফারুক আহমেদও।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রাম নগর ও জেলার সবকটি উপজেলায় গত ১০-১১ দিন ধরে চলছে ভয়াবহ লোডশেডিং। জেলা ও উপজেলার এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে এক ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ আছে। এর মূলে পাওয়া গেছে গ্যাস সংকট। গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় চট্টগ্রামের তিনটি সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ অনেকগুলো বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ। চট্টগ্রামে চাহিদার সবটুকু গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে কর্ণফুলী ইউরিয়া সার কারখানায়। ফলে আবাসিক এলাকায় রান্না-বান্নার কাজেও গ্যাস পাচ্ছে না নগরবাসী। আর বিদ্যুতের অভাবে পানি সরবরাহ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে।

বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস জনজীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ তিনটি উপাদানের অভাবে নগরজীবন অভিশপ্ত হয়ে উঠেছে। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এ নিয়ে চিকিৎসকরাও সতর্কতার নানা বাণী শুনাচ্ছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের। এভাবে ভুক্তভোগী মানুষ অসহায় হয়ে আল্লাহর কাছে পারিত্রাণের জন্য দোয়া করছেন।

এ প্রসঙ্গে পিডিবি চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (গণসংযোগ) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, গ্যাসের অভাবে চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উৎপাদনে ধস নেমেছে এবং চট্টগ্রামে এখন গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং চলছে। তীব্র দাবদাহে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়লেও জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ কমিয়ে দেয়ায় লোডশেডিং বেড়ে গেছে।

তিনি জানান, চট্টগ্রামে প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা কমপক্ষে ১০০০-১০৫০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে চট্টগ্রামের সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে পাওয়া যাচ্ছে ৫০০-৫৫০ মেগাওয়াটের মতো। বাকি ৪০০ বা ৪৫০ মেগাওয়াটের জন্য জাতীয় গ্রিডের সরবরাহের দিকে চেয়ে থাকতে হয়। কিন্তু জাতীয় গ্রিড থেকে গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রয়োজনীয় সরবরাহ না পাওয়ায় চট্টগ্রামের অনেক শিল্প-কারখানা, বাসাবাড়ি-বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

গতকাল পরশু জাতীয় গ্রিড থেকে পাওয়া যায় মাত্র ২১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। গ্যাসের অভাবে চট্টগ্রামের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিট বন্ধ রয়েছে। এরমধ্যে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রাউজান তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ইউনিট-১ ও একই উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ইউনিট ২-এর উৎপাদন মাঝে মধ্যে চালু করা যায়, যখন গ্যাস সরবরাহ থাকে। প্রায় একই সময় ধরে পটিয়া শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬০ মেগাওয়াট ইউনিটটিও বন্ধ রয়েছে। কাপ্তাই লেকের পানির পরিমাণ কমে যাওয়ায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে দুটি বন্ধ রাখা সম্ভব হয়েছে।

সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মধ্যে ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন শিকলবাহা ডুয়েল ফুলিং ইউনিট ও ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন শিকলবাহা পিকিং ইউনিট থেকে স্বল্প পরিসরে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এছাড়া কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিট থেকে সামান্য পরিমাণে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। রাউজান তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিটের ২১০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটিও পুরোদমে উৎপাদনে যেতে পারছে না।

মঙ্গলবার এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য গ্যাস পাওয়া গেছে মাত্র ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট। এই গ্যাস দিয়ে ১৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। কিছুদিন আগেও এ ইউনিটে ১৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেয়ায় উৎপাদনও কমে গেছে।

চট্টগ্রাম বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপক শাহ আলম বলেন, চট্টগ্রামে ৫০০-৫৫০ এমএমসিএফটি চাহিদার বিপরীতে সম্প্রতি ২৪০-২৫০ এমএমসিএফটি পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ করা হলেও গত কয়েকদিন তাও হ্রাস পেয়েছে। আর বেশিরভাগ গ্যাস এখন ইউরিয়া সার কারখানায় সরবরাহ হচ্ছে। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্প খাতে চরম দুর্দশা চলছে।

অনুরূপভাবে গৃহস্থালী খাতে গ্যাসের অভাব ও গ্যাসের চাপ অত্যন্ত ক্ষীণ বিধায় রান্নার কাজ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

হাসপাতাল/ক্লিনিকগুলোতেও গ্যাসের সরবরাহ অপ্রতুল। পরিস্থিতির সামগ্রিক অবনতিতে চট্টগ্রাম মহানগরী এখন গ্যাসের সংকটে ভুগছে।

এদিকে প্রচণ্ড গরমে জনজীবন কাহিল হলেও চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এ গ্রীষ্মে ৩৬-৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অস্বাভাবিক কিছুই নয়। তবে বাতাসের আদ্রতা বেড়ে যাওয়ায় প্রচণ্ড গরম পড়ছে বলে জানান পতেঙ্গা অবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. ফরিদ উদ্দিন।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু বাতাসের আদ্রতা প্রায় ৬৯ শতাংশ, যা চট্টগ্রামে বিগত ৫-৭ বছরে হয়নি। এটাকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বলে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, বাতাসের আদ্রতা আগামী সপ্তাহের দিকে কমে আসতে পারে। এতে গরম একটু কমতে পারে।

প্রচণ্ড গরমে জনজীবন নানা অসুখ, বিশেষ করে ডায়রিয়া, জ্বর ও হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে নানা সতর্কতার কথা বলছেন নগরীর চিকিৎসকরা। নগরীর স্টারল্যাব ক্লিনিকের চিকিৎসক সেলিম সরোয়ার বলেন, গরমে পানি পানের অভাবে মানুষ এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে নগরীর বাসায় আসায় পানির অভাব দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিশুদের কষ্ট হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে পেটের পীড়া নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের অধিকাংশই শিশু।

তিন বছরেও লোডশেডিং মুক্ত হচ্ছে না চট্টগ্রাম

প্রচণ্ড খরতাপে ভয়াবহ বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ের শিকার হয়ে চট্টগ্রামের মানুষের জীবন যখন দুর্বিষহ ঠিক তখনই আরও একটি দুঃসংবাদ দিলেন চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) প্রধান প্রকৌশলী মো. আজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, আগামী তিন বছরেও লোডশেডিং মুক্ত হবে না চট্টগ্রাম।

তিনি বলেন, দুর্বল ও জরাজীর্ণ বিতরণ লাইনের কারণে চট্টগ্রামে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লোডশেডিংও। নগরে উড়ালসড়কের নির্মাণকাজের জন্যও দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে। এতে প্রচণ্ড গরমে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে মানুষ।

পিডিবি সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে বিতরণ লাইনগুলো ৩০ বছরের পুরোনো। সে কারণে অতিরিক্ত লোড হলেই লাইনে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সাবস্টেশন ও ট্রান্সফরমারগুলোর অবস্থাও জরাজীর্ণ। চট্টগ্রাম অঞ্চলের জরাজীর্ণ লাইনগুলো বদলাতে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন একটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, এ প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৬৩ কিলোমিটার নতুন লাইন নির্মাণ ও ১ হাজার ১৬৭ কিলোমিটার বিদ্যমান লাইন উন্নত করা হবে। এ ছাড়া ১৪টি নতুন সাবস্টেশন নির্মাণ ও আটটি সাবস্টেশন উন্নত করা হবে। বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন নামের প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন সাবস্টেশন ও বিতরণ লাইন নির্মাণকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ভোগান্তি থেকে পুরোপুরি রেহাই মিলবে না। এ জন্য অপেক্ষায় থাকতে হতে পারে প্রায় তিন বছর।

চট্টগ্রাম নগরে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণের দায়িত্বে আছে পিডিবি। সংস্থাটি চট্টগ্রাম নগর, পটিয়া, সীতাকুন্ডের কিছু অংশ, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো কাজে চট্টগ্রাম নগরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। কখনো পিডিবির পুরোনো লাইন, ট্রান্সফরমার বা সাবস্টেশনের মেরামত, কখনো বিভিন্ন গ্রিড স্টেশনের সংস্কার আবার কখনো মুরাদপুর-লালখানবাজার উড়ালসড়কের নির্মাণকাজের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

জানতে চাইলে পিডিবি সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ৮০ দিনের মধ্যে ৫৭ দিনই গড়ে (প্রতিদিন গড়ে ছয় থেকে আট ঘণ্টা) চট্টগ্রাম নগর ও এর আশপাশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে গত এক মাসে শুধু উড়ালসড়ক নির্মাণকাজের জন্যই ১০ দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখেছিল পিডিবি। ১২ দিন বন্ধ ছিল পিডিবি ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির কাজের জন্য। মুরাদপুর, বিবিরহাট, মোহাম্মদপুর, শুলকবহর, পাঁচলাইশ, নাসিরাবাদ, কাতালগঞ্জ, জামালখান, খুলশী, লাভলেইন, কালুরঘাট, চান্দগাঁওসহ নগরের প্রায় সব এলাকাতে প্রতিদিনই বিদ্যুৎ-সংকটের কারণে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে মানুষ।

এ বিষয়ে মুরাদপুর-লালখানবাজার উড়ালসড়ক প্রকল্পের পরিচালক বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তার স্বার্থে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে অনুরোধ করছি আমরা। উড়ালসড়কের বিশাল আকৃতির গার্ডারগুলো ক্রেনের সাহায্যে বসানো হচ্ছে। এ কাজের সময় বিদ্যুতের খুঁটি ও তারে সংঘর্ষ হতে পারে। তবে ইতিমধ্যে আমরা অনেকগুলো খুঁটি সরানোর কাজ করেছি। দুই সপ্তাহ পর এ কাজের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হবে না।

তিনি বলেন, আসলে লোডশেডিং নয়, বিতরণ ব্যবস্থার ত্রুটিই বড় সমস্যা। কারিগরি কিছু সমস্যার কারণে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে না। আশা করছি, তিন বছরের মধ্যে বিতরণ লাইন প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। তখন এসব সমস্যা আর থাকবে না।

ঢাকাটাইমস/২৬মে/এমআর