খুনের দায়ে পাঁচজনের ফাঁসির আদেশ

প্রকাশ | ২৯ মে ২০১৭, ১৫:৩৯ | আপডেট: ২৯ মে ২০১৭, ১৫:৪২

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব নুর উদ্দিনের ছেলে মহিউদ্দিন মিশু হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। একই মামলার আরও তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশও দেয়া হয়েছে।

সোমবার ঢাকার এক নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আতাউর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন হুমায়ুন কবির, আবুল কালাম, তরিকুল ইসলাম, ইসহাক ও কালাম ওরফে নম কালাম। যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত তিন আসামি হলেন- হাসেম দেও, রাজা ও বাদশা। দণ্ডিতদের মধ্যে কালাম ওরফে নম কালাম কারাগারে। বাকি সবাই পলাতক।

এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি জাহাঙ্গীর হোসেন দুলাল বলেন, মামলার মোট ১১ জন আসামির মধ্যে রায়ে অপর তিন আসামি শুভ, হেকমত ওরফে রাসেল ও বাবুকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

২০০৬ সালের ১৯ মে রাজধানীর কাফরুল থানাধীন বিল্ডি নং-২, ফ্লাট নং-২০৩ এর ন্যাম গার্ডেনের বাসার সামনের রাস্তা থেকে আসামিরা নিহত মিশুকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরদিন ৬০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তা না দেয়ায় পরে পাবনা জেলার আতাইকুলা গ্রামে নিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মিশুকে হত্যা করে।

ওই ঘটনায় ২০০৬ সালের ১৩ জুলাই কাফরুল থানায় সাবেক যুগ্ম সচিব নুরুদ্দিন প্রথমে একটি অপহরণের মামলা করেন। পরে ওই বছর ২১ আগস্ট আসামি আবুল কালামের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পাবনা জেলার আতাইকুলা গ্রাম থেকে মিশুর লাশ উদ্ধার হওয়ার পর মামলাটি অপরহরণপূর্বক হত্যা মামলায় পরিণত হয়।

২০০৭ সালের ৪ এপ্রিল ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মনজিল হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলাটির বিচারকালে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে।

নিহত মিশু রাজধানীর পিপলস ইউনিভার্সিটির বিএসসির প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। আসামি হুমায়ুন কবিরে শ্যালকের সঙ্গে শিশু পড়ালেখা করতেন। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে আসামি হুমায়ুন কবির পরিকল্পিতভাবে শিশুকে অপহরণ করেন।

ঢাকাটাইমস/২৯মে/জেডআর/ডব্লিউবি