ধূমপানবিরোধী আইনের প্রয়োগ নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ২৯ মে ২০১৭, ১৬:৪৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

প্রকাশ্যে ধূমপাত প্রতিরোধে আইনের প্রয়োগ না থাকায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি জানান, জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে আইনটির প্রয়োগে প্রয়োজনীয় উগ্যোগ নেবেন তারা।

সোমবার সচিবালয়ে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন নাসিম।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় বুধবার বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস দেশের ৬৪টি জেলাতেই উদযাপন করা হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সব জেলায় জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনদের বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদযাপনের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ওইদিন ঢাকায় ওসমানি মিলনায়তনে সকাল ১১টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশে প্রকাশ্যে ধূমপান রোধে ২০০৫ সালে করা হয় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন। এতে বাস, ট্রেন, বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল, পার্ক, রেল স্টেশন, হোটেল রেস্তেরাঁ বা জন সমাগম হয় এমন এলাকায় ধূমপান করা নিষিদ্ধ করা হয়। আইন অমান্য করলে জরিমানার বিধানও রাখা হয়।

২০১৩ সালে আইনটি সংশোধন করে জরিমানা বাড়ানো হয়। কিন্তু এর পরও প্রকাশ্যে ধূমপান থামানো যাচ্ছে না। আর আইন অনুযায়ী জরিমানাও করা হয় কদাচিৎ। বাসে যাত্রীদের ধূমপান অনেকটাই বন্ধ হলেও চালক ও তার সহকারীরা চালিয়ে যাচ্ছে না। ট্রেনেও ধূমপান করা হয় প্রকাশ্যেই। টার্মিনাল আর বিভিন্ন খাবার হোটেলেও চলছে এই প্রবণতা। 

এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ধূমপান বিরোধী আইন আমাদের আছে। এটির প্রয়োগে হচ্ছে না। তবে এটি যেন প্রয়োগ হয় সেজন্য আমরা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেব।’

২০০৪ সালে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদন তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তামাকজনিত রোগে বছরে নিট ক্ষতির পরিমাণ দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকা। গত এক যুগে এটি আরও বেড়েছে।

লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, বাংলাদেশে ২০০৯ সালের গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস) অনুযায়ী, ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ তামাক ব্যবহার করে। ধূমপান ও তামাকের কারণে নানারকম ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়বেটিক, এজমাসহ নানাবিধ প্রাণঘাতী রোগ সৃষ্টি হয়। 

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, ‘বিশ্বে প্রতি ৬ সেকেন্ডে একজন এবং প্রতিবছর ৬০ লক্ষাধিক মানুষ তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। মৃত্যুর এ ধারা কমিয়ে আনতে বিশ্ববাসী একজোট হয়ে প্রণয়ন করেছে ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাক্ক কনট্রোল, যা জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে পৃথিবীর প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি। এফসিটিসি অনুমোদন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ।’

(ঢাকাটাইমস/২৯মে/এমএম/ডব্লিউবি)