আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে সেন্টমার্টিনের মানুষ

প্রকাশ | ২৯ মে ২০১৭, ২১:১০

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’-এর প্রভাবে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। সোমবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানোর পরপর লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এসব লোককে আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে রেড ক্রিসেন্ট, ইউনিয়ন পরিষদের একটি টিমসহ স্থানীয় লোকজন সহযোগিতা করছে। এছাড়া দ্বীপে প্রবল বর্ষণ ও প্রচণ্ড বাতাস বইছে।

টেকনাফ সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১০ নম্বর সংকেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপকূলের লোকজনকে সরিয়ে দ্বীপের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইফতারের পর থেকে হঠাৎ করে দ্বীপে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে বাতাসের গতি বাড়ছে। তবে ইউনিয়ন পরিষদের একটি টিম ও রেড ক্রিসেন্টের লোকজন কাজ করে যাচ্ছে। রাত ৮টা পর্যন্ত দ্বীপের পশ্চিম পাড়ার আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৩০০ লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পর্যাক্রমে সবাইকে আশ্রয় নিয়ে যাওয়া হবে।

দ্বীপের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে দ্বীপে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে এবং বাতাসও রয়েছে। দ্বীপের লোকজন আশ্রয় নেয়ার জন্য কেন্দ্রে দিকে ছুটছেন। প্রায় ৩০০ এর মতো মানুষ দ্বীপের পশ্চিম পাড়ার আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক ঢাকাটাইমসকে বলেন, ইফতারের পর থেকে সেন্টমার্টিনের বসবাসকারীদের আশ্রয় নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক লোক আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া জন্য চলে গেছেন। রাতের ভেতরে সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। এছাড়া দ্বীপের লোকজন যাতে আশ্রয় নিতে পারে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্কুল, আবহাওয়া অফিস ও ডাকঘর খোলা রাখতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের কক্সবাজার স্টেশনের সহকারী আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক ঢাকাটাইমসকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’-এর প্রভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেতের পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত ও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার সকাল নাগাদ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

(ঢাকাটাইমস/২৯মে/প্রতিনিধি/জেবি)