আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়ছে বাগেরহাটের মানুষ

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ মে ২০১৭, ১৫:১৪
ফাইল ছবি

ঘূর্ণিঝড় মোরার গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। প্রাণহানি থেকে রক্ষা পেতে সোমবার রাতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠা বাসিন্দারা সকাল থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বাগেরহাটে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি হওয়ার পর জেলার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে মংলা বন্দর এখনো জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ রয়েছে। আবহাওয়ার উন্নতি না হলে আজও কাজ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার মো ওয়ালিউল্লাহ।

বাতিল করা হয়েছে জেলার সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি। খোলা হয়েছে ১০টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, গঠন করা হয় ৮৩টি মেডিকেল টিম।

শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরের জলোচ্ছ্বাসে শরণখোলার সাউথখালি ইউনিয়নেই প্রায় সাড়ে আটশ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এরপর থেকে এই এলাকার মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। দুর্যোগের পূর্বাভাস পেলেই তা মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বলেশ্বর নদী তীরবর্তী বাঁধের পাশের মানুষ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়।

মংলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোরার গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় আমরা বাগেরহাটবাসী ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। দুর্যোগ মানেই আতঙ্ক। তবে দুর্যোগের পূর্বাভাস পেলেই উপকূলের মানুষ কিভাবে তাদের জানমাল রক্ষা করবে সে বিষয়ে তারা এখন অনেক বেশি সচেতন। ঘূর্ণিঝড় মোরার বিপদ সংকেত পেয়েই কয়েক হাজার মানুষ মংলা উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেন। রাতে আশ্রয় কেন্দ্রে থেকে তারা সকালে যার যার বাড়ি ফিরে গেছেন।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে আকাশে মেঘ রয়েছে। তবে কোনো বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। দুর্যোগ থেকে জেলার বাসিন্দাদের রক্ষা করতে জেলার নয়টি উপজেলায় ২৩৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়। এরমধ্যে বেশি ঝুঁকিতে থাকা উপকূলীয় শরণখোলা, মংলা, রামপাল ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৩৪ হাজার মানুষ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে ওঠে। সকালে আবহাওয়ার উন্নতি হতে শুরু করলে বাসিন্দারা ফিরতে শুরু করেন।

ঢাকাটাইমস/৩০মে/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :