ঘূর্ণিঝড় মোরা: তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি চট্টগ্রামে

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ৩০ মে ২০১৭, ১৮:০৩ | প্রকাশিত : ৩০ মে ২০১৭, ১৭:৫৮

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে চট্টগ্রামে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের উপকূল দিয়ে কক্সবাজার অতিক্রম করেছে।

এ সময় ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২৬ কিলোমিটার। এতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছের ডালপালা ভেঙেছে।

এমনকি ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে চট্টগ্রামের সাতটি ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলা বাঁশখালী, সন্দ্বীপ, আনোয়ারা, সীতাকুন্ড, মিরসরাই, কর্ণফুলী এলাকায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করার সময় দমকা হাওয়া ও গুঁড়িগুঁড়ি থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম মহানগর ও উপকূলের নিচু এলাকাসমূহও তেমন ডুবেনি। তবে জলোচ্ছ্বাসে নিচু থেকে নিচতর এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বে থাকা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাইনি। তবে উপকূলীয় কয়েকটি উপজেলায় কিছু ঘর-বাড়ি ও গাছপালা উপড়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি।

এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব লক্ষ্য করে জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সোমবার রাতেই সবধরনের জাহাজ কর্ণফুলীর অভ্যন্তরে এবং কোনো কোনো জাহাজ গভীর সমুদ্রে সরিয়ে নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।’

এছাড়া মঙ্গলবার ভোরে নগরীর বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। বিকাল ৫টা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরেও প্রায় আট ঘণ্টা বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। দুপুর ২টার পর বিমান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

এদিকে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মাহমুদুল আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম অতিক্রম করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় এখানে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২৬ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের সময় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়েছে।

এই কর্মকর্তা বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। এখনো বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৩০মে/আইকে/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বন্দর নগরী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা