বউ মেলার নামে চলছে জুয়ার আসর

প্রকাশ | ৩১ মে ২০১৭, ১৬:০৪

নাটোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নাটোরের সিংড়ার মাদার-নিশান ও জামাই-বউ মেলার নামে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। এছাড়া মেলার নামে বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে মাদকদ্রব্য বিক্রি ও অবৈধ্য লটারিসহ অসামাজিক কার্যকলাপের আয়োজন করছে স্থানীয় এক শ্রেণির প্রভাবশালী জুয়াড়িরা। এলাকাবাসী এসব অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

সিংড়া উপজেলার ১নং শুকাস ইউনিয়নের কলিয়া বাজারে প্রতি বছরের ন্যায় রবিবার আয়োজন করা হয় মাদার-নিশানের মেলা। এলাকার নিয়ম অনুয়ায়ী পরের দিন সেই একই স্থানে বসে জামাই-বউ মেলা। কিন্তু রবিবার রাতে সবেজমিনে দেখা যায়, শুকাস ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য সাইফুল ইসলাম ও স্থানীয় জুয়াড়ি জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে মেলার নামে জুয়ার আসর বসিয়েছে জুয়াড়িরা। বিক্রি হচ্ছে মাদকদ্রব্য। মেলায় ডাবু, চরকি, বউ মাছ, ব্যাঙ টিকটিকি, তিন টাস, ফিতা খেলা, লটারিসহ সাত-আট ধরনের জুয়ার আসর বসিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট মেলা কমিটি ও জুয়াড়িরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শুকাস ইউনিয়নের একাধিক ইউপি সদস্য বলেন, এই মেলাটি মাদারের মেলা নামে এলাকায় পরিচিত। তবে একে জামাই-বউ মেলা বলে অনেকেই। জুয়া খেলার বিষয়ে তারা বলেন আমাদের কি বা করার আছে? পুলিশ প্রশাসন তো সবই জানে। তবে রমজান মাসে এসব কার্যকলাপ বন্ধ হওয়া খুই জরুরি।

শুকাস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে ওই মেলায় জুয়ার আয়োজন করা হচ্ছে লোক মুখে শুনে তিনি তাৎক্ষণিক ভাবে সিংড়া থানাকে বিষয়টি অবগত করেছেন। এই প্রতিবেদকের কাছ থেকে রাতে জুয়া চলেছে শুনে তিনি বলেন, তার অজান্তে জুয়া চলে থাকতে পারে। এখন তো রমজান মাস নামাজের কারণে রাতের খবর তার জানা নেই।

সিংড়া থানায় কর্মরত ডিএসপি পুলিশ বাবুল হোসেনকে প্রতিদিন মেলায় দেখা গেলেও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে তিনি জানান, তার প্রয়োজনে তিনি মেলায় গিয়ে ছিলেন। আর জুয়া আসরের সাথে তার সম্পৃক্ততা নেই।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রমজান শুরুর আগে ওই এলাকায় জুয়ার খবর শুনে পুলিশ পাঠিয়ে তা বন্ধ করা হয়। পরবর্তীতে জুয়া চলার বিষয় তার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে এবিষয়ে তিনি যথাযথা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

(ঢাকাটাইমস/৩১মে/প্রতিনিধি/এলএ)