ঝড়ে ভাঙা বিদ্যুৎ টাওয়ার সরানো হয়নি এক মাসেও

প্রকাশ | ৩১ মে ২০১৭, ২২:০৭ | আপডেট: ৩১ মে ২০১৭, ২২:১৩

রাজীবুল হাসান, ভৈরব প্রতিনিধি

ভৈরবের পৌর শহরের কালীপুর এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে ভেঙে পড়া বিদ্যুৎ টাওয়ার সরানোর কাজ একমাসেও শেষ হয়নি। অথচ ঘটনার চারদিন পর বিদ্যুৎ সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ‘এক সপ্তাহের মধ্যে’ টাওয়ারটি সরানোর কথা বলেছিলেন।

গত ১মে রাতে মেঘনা নদীর পাড়ে ২৩০ কেভি আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ সঞ্চালন লাইনের এ বিদ্যুতের টাওয়ারটি বিধ্বস্ত হয়ে উল্টে পড়ে। ফলে এদিন সিরাজগঞ্জসহ সারাদেশে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়।

ঝড়ের তা-বে সঞ্চালন লাইনের তারগুলিও ভৈরবে মেঘনা নদীতে ছিটকে পড়ে যায়। পরে জাতীয় গ্রিড লাইনের কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

গত ৫ মে বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমেদ কায়কাউজ, জাতীয় গ্রিড লাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম আল বিরুনীসহ ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, ভেঙে যাওয়া টাওয়ারটি এক সপ্তাহের মধ্য সরানো হবে। কিন্তু একমাস অতিবাহিত হলেও তাদের কথার পুরোপুরি প্রতিফলন দেখা যায়নি।

বুধবার পর্যন্ত বিধ্বস্ত টাওয়ার পুরাপুরি সরানো সম্ভব হয়নি।

বিদ্যুৎ সচিব তখন জানিয়েছিলেন, এটি সরানোর পর নতুন টাওয়ার বসাতে তিন মাস সময় লেগে যাবে।

কিন্তু পুরনোটি সময় মতো না সরানোয় নতুন টাওয়ার নির্মাণের কাজ কবে শুরু হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু এই টাওয়ারটি ২০০৮ সালে ভৈরব এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছিল।

আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ সঞ্চালন লাইনটির দূরত্ব ১৪২ কিলোমিটার বলে কর্তৃপক্ষ জানায়।

বর্তমানে জাতীয় গ্রিড কর্তৃপক্ষ বিকল্প ব্যবস্থায় অন্য লাইন দিয়ে আশুগঞ্জ থেকে সিরাজঞ্জ লাইনে বিদ্যুত সরবরাহ করলেও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।

জাতীয় গ্রিড লাইনের প্রকৌশলী মো. খলিলুর রহমান ঢাকাটাইমস প্রতিনিধিকে জানান, বিধ্বস্ত টাওয়ারটি সরাতে ঠিকাদারের ৫৭ জন শ্রমিক একমাস যাবত কাজ করছে।

তিনি বলেন, টাওয়ারটির ওজন প্রায় ৩০০ টন। টাওয়ারের নাট বল্টু খুলে লোহা লক্কর সরানো কঠিন কাজ। এটি সরাতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।

এদিকে টাওয়ার যাতে ঝড়ে ভেঙে না পড়ে সে জন্য ব্যালেন্স ঠিক রাখতে আশুগঞ্জ টাওয়ারটিও নতুনভাবে নির্মাণ করতে হবে বলে প্রকৌশলীরা জানিয়েছে।

জাতীয় গ্রিড লাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুম আল বিরুনী ঢাকাটাইমসকে জানান, ভৈরবের এই বিধ্বস্ত টাওয়ারটি পুনরায় নির্মাণের জন্য কোরিয়ার একটি কোম্পানিকে কাজ দেয়া হয়েছে। টাওয়ারের যন্ত্রাংশ  কোরিয়া থেকে আমদানি করতে কিছুটা সময় লাগতে পারে বলে তিনি জানান।

(ঢাকাটাইমস/৩১মে/প্রতিনিধি/ইএস)