ইউনিফর্ম পরছে না রিকশাচালক, ভেস্তে যাচ্ছে পৌর উদ্যোগ,
প্রকাশ | ০২ জুন ২০১৭, ১১:৩৪
মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় বাইরের রিকশার উৎপাত, যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও রাত আটটার পর রিকশাচালকেরা যাত্রী বহন করতে চান না। পৌরবাসীর এই সমস্যা সমাধানে পৌরসভার উদ্যোগে রিকশাচালকদের নির্ধারিত পোশাক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
২০ এপ্রিল পৌর মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম পৌরসভার রেজিস্ট্রেশনভুক্ত ১ হাজার চালকের মধ্যে ৫শ রিকশাচালককে ইউনিফর্ম প্রদান করে র্যালি করেন।
পোশাকের সিকিউরিটি বাবদ সেই সময়ে চালকদের কাছ থেকে নেয়া হয় ১শ টাকা এবং পোশাক তৈরিতে পৌরসভার খরচ হয় প্রায় ১৩০ টাকা।
গত মাসে ইউনিফর্মগুলো রিকশাচালকদের আনুষ্ঠানিক প্রদানের পর পৌর এলাকার অল্প কিছু চালক সেগুলো ব্যবহার করলেও বেশিরভাগ চালকের গায়ে ইউনিফর্ম দেখা যাচ্ছে না। গত এক সপ্তাহ পৌর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে কোন রিকশাচালকের গায়ে ইউনিফর্ম দেখা যায়নি। চালকদের গায়ে নিদিষ্ট পোশাক না থাকায় আগের মত যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে, যাত্রীদের ইচ্ছে মত জায়গায় যাচ্ছে না। এখনো ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সাথে রিকশাচালকদের বাকবিতণ্ডা লেগেই থাকছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভা থেকে ইউনিফর্ম পাওয়া পশ্চিম দাশড়া এলাকার এক রিকশাচালক জানান, পৌরসভা থেকে যে ড্রেস (ইউনিফর্ম) দেয়া হয়েছে সেটা গায়ে থাকলে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া যায় না, যাত্রীরা যেখানে যেতে চাইবে শরীর খারাপ থাকলেও সেখানেই যেতে হবে। এ কারণে পৌরসভা থেকে ড্রেস নিয়ে বাড়িতে রেখে দিয়েছি।
পৌরসভার চর-হিজুলী এলাকার রিকশাচালক জসিম উদ্দিন জানান, এই ড্রেস অনেককে দেয়া হয়েছে। অন্য রিকশাচালকরা ড্রেস পরে না- তাই আমিও পরছি না।
মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার ছানু বলেন, রিকশা চালকদের নির্ধারিত পোশাক (ইউনিফর্ম) দেয়া পৌরসভার উদ্যোগটি ভাল ছিল। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে ভাল উদ্যোগটি ভেস্তে যেতে বসেছে। এ কারণে এখনো বহিরাগত অনেক রিকশাচালক ছোট্ট শহরে ঢুকে যানজটের সৃষ্টি করে রোজাদারদের ভোগান্তির সৃষ্টি করছে।
গোলাম ছারোয়ার বলেন, রিকশা চালকেরা ইউনিফর্ম ব্যবহার না করায় পোশাক তৈরিতে পৌর কর্তৃপক্ষের যে পরিমাণ অর্থ খরচ হয়েছে- তা পৌরবাসীর পকেটের উপর দিয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম বলেন, পৌরসভার পক্ষ থেকে দেয়া ইউনিফর্ম রিকশাচালকেরা পরছেন না এই বিষয়টি আমার নজরে আসছে। দ্রুত রিকশা চালক সমিতির কর্মকর্তাদের নিয়ে বসে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব।
তিনি বলেন, পৌরসভার রেজিস্ট্রেশনভুক্ত কোন রিকশাচালক পৌরসভার নির্দেশ অমান্য করে- তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস/২জুন/প্রতিনিধি/এলএ)