শিক্ষকদের রাজনীতি করা উচিত নয়: কাদের

প্রকাশ | ০৪ জুন ২০১৭, ১৫:৫৫ | আপডেট: ০৪ জুন ২০১৭, ১৯:০৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

শিক্ষকদের সরাসরি রাজনীতিতে জড়ানো শিক্ষার পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দল সমর্থন করা যার যার অধিকার। শিক্ষকরাও সমর্থন করতে পারেন। কিন্তু শিক্ষকরা সক্রিয় রাজনীতি করলে শিক্ষার মান উন্নত হবে না।’

রবিবার রাজধানীর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মানসম্মত শিক্ষার জন্য মানসম্মত শিক্ষকতাও দরকার। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য শিক্ষকদেরও হোমওয়ার্ক করতে হবে। তা হলে শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য শুভ হবে।’

আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাল ফলাফল শিক্ষা ব্যবস্থার গুণগত মানের কারণে বলে তিনি মনে করেন না। তিনি বলেন, ‘জিপিএ ফাইভ পাওয়া শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজিতে দুইজন পাস করে, এটা কোয়ালিটি শিক্ষা নয়। আমরা কোয়ালিটি শিক্ষা চাই। আমরা পরীক্ষার্থী চাই না, শিক্ষার্থীর চাই।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকাল তো প্রশ্নপত্র লিক হয়ে যায়। ইন্টারনেট আমাদের অনেক উন্নতি করে দিচ্ছে। সারা দেশ ডিজিটাল হচ্ছে। কিন্তু ইন্টারনেটের কিছু সমস্যাও আছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসে ইন্টারনেটের একটা ভূমিকা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের বলব, ইন্টারেটে প্রশ্নপত্র লিকের সুযোগ তোমরা প্রত্যাখান করো। জীবিকার জন্য নয়, জীবনের জন্য শিক্ষা চাই।’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য কাদের বলেন, ‘মাদক, ইয়াবা এবং দুর্নীতিকে না বলো। দুর্নীতি করবে না, মাদক নিবে না, মাদককে ঘৃণা করবে।’ তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের দুর্ভাগ্য, শেখ হাসিনা ছাড়া আরেকজন রাজনৈতিকও মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলে না। আওয়ামী লীগ ছাড়া কোন রাজনৈতিক দল এর বিরুদ্ধে কথা বলে না।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকে ইয়াবা আমাদের তরুণ সমাজের একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। অথচ ইয়াবার বিরুদ্ধে আমাদের রাজনৈতিক নেতারা নীরব।’ মাদকে অভিন্ন শত্রু উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যে যে রাজনৈতিক দল করুন না কেন। ইয়াবা আমাদের সকলের শত্রু, মাদক আমাদের শত্রু। তাই এর বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে কথা বলতে হবে।’

মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৫ আসনের সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার।

ঢাকাটাইমস/০৪জুন/টিএ/ডব্লিউবি