নির্যাতিত সাংবাদিকের কাছে ক্ষমা চাইলেন অভিযুক্তরা

প্রকাশ | ০৪ জুন ২০১৭, ২০:০৯

ঝালকাঠি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

রেইনট্রি হোটেল ও ঝালকাঠি-১ আসনের সাংসদ বিএইচ হারুণকে নিয়ে লেখা সংবাদে ফেসবুকে লাইক দেয়ায় নির্যাতিত সাংবাদিকের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন অভিযুক্তরা। ওই সাংবাদিককে ভবিষ্যতে নিরাপত্তার অঙ্গীকার করে তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের দায়িত্বও নিয়েছেন মামলার আসামিরা।

দিয়ে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় কাঁঠালিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সিকদার দু:খ প্রকাশ করে এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।

রবিবার ঝালকাঠি জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার মো. শাহ আলমের উদ্যোগে এই শালিশ বৈঠক বসে। সেখানে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান কিবরিয়াসহ মামলার অপর আট আসামি উপস্থিত থেকে সাংবাদিক এইচ এম বাদলের কাছে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

এসময় উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে কাঁঠালিয়ার সব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ঝালকাঠি জেলা শাখার নেতারা উপস্থিত ছিলেন। নির্যাতিত সাংবাদিক বাদলও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

তার ওপর হামলার দিন সাদা স্ট্যাম্পে নেয়া স্বাক্ষরসহ সেই স্ট্যাম্প, মোবাইল সেট ফিরিয়ে দেয়া হয়। কাঁঠালিয়া সাংবাদিকতায় বাদলের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার নিশ্চয়তার দায়িত্ব নেয়া হয়। এছাড়া গুরুতর আহত বাদলের চিকিৎসা খরচের জন্য এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেন অভিযুক্তরা। পরে বাদলের সাথে উপজেলার চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়ার সাথে বুকে মিলিয়ে দেন ঝালকাঠি জেলা পরিষদ চেয়ারমান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় বনানীর রেইনট্রি হোটেলের মালিকের বাবা ঝালকাঠি-১ আসনের দলীয় সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনকে নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ফেসবুকে শেয়ার হয়। ওই সংবাদে গত ১৬ মে লাইক দেয়ার অভিযোগে তাকে তুলে নিয়ে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া সিকদার ও তাঁর লোকজন। ওই রাতেই তাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সাংবাদিক বাদলের ওপর হামলার ঘটনায় দেশব্যাপী বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ডাকে কর্মসূচি পালিত হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিও দেয়া হয়।

অপরদিকে এ ঘটনায় সাংবাদিক এইচ এম বাদল বাদী হয়ে ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন, কাঁঠালিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সহযোগী মনির হোসেন, শহিদুল ইসলাম, সেলিম হাওলাদার, মো. আনিচ, মনির খান, এনাম কাজী, মিলন মাষ্টার ও মিলন সিকদার।

(ঢাকাটাইমস/০৪জুন/প্রতিনিধি/জেবি)