গোপালগঞ্জ-৩ আসনে এবারও শেখ হাসিনা

প্রকাশ | ০৬ জুন ২০১৭, ০৮:৩৮ | আপডেট: ০৬ জুন ২০১৭, ১৬:২৯

তানিম আহমেদ, ঢাকাটাইমস

১৯৯১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত যতগুলো জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিয়েছে তার প্রতিটিতেই বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়া আসন থেকে লড়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। প্রতিবার তিনি তিন থেকে পাঁচটি আসনে গোপালগঞ্জ-৩ আসনটি কখনও ছাড়েননি।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে আওয়ামী লীগে। দলীয় সভাপতির জন্যও আসন বাছাইয়ের কাজটি করতে হচ্ছে নেতাদের। এ ক্ষেত্রে অন্য অনেক কিছুর পাশাপাশি কোন এলাকায় আওয়ামী লীগের শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে, সেটিও বিবেচনায় রাখতে হচ্ছে দলকে। আবার শেখ হাসিনার আবেগের বিষয়টিও রয়েছে। এ কারণেই বাবার আসনে মেয়ে, এটি আবারও দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।

টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলার অংশ বিশেষ নিয়ে গঠিত গোপালগঞ্জ—৩ আসন। ১৯৯১ সর্বপ্রথম এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। এরপর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের বর্জনের মধ্যে হওয়া ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ নির্বাচিত হন। এরপর টানা চারটি নির্বাচনেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। এরই ধারবাহিকতায় আগামী নির্বাচনেও তিনি এ আসন থেকে প্রার্থী হবেন।

আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়া। এ সংসদীয় আসন থেকে বারাবরই নির্বাচন করেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এর ব্যতিক্রম হবে না।

টুঙ্গিপাড়ার বাসিন্দা শেখ কামরুজ্জামান ঢাকাটাইমসকে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়ায় আমি জন্মগ্রহণ করেছি, তাই আমি গর্বিত। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের টুঙ্গিপাড়ায় উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা চাই যত দিন তিনি জীবিত থাকবেন ততদিন এ এলাকা থেকে নির্বাচন করবেন। শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কেউ এ আসন থেকে নির্বাচন করবেন তা আমরা কল্পনা করতেও পারি না।

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ আহমেদ হোসেন মির্জা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাদের টুঙ্গিপাড়ার সংসদ আছেন, আগামীতেও থাকবেন। তিনি যতদিন বাঁচবেন আমাদের এ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। আমরা তাকে ছাড়া অন্য কাউকে কল্পনাও করতে পারি না।’

টুঙ্গিপাড়া আসন বরাবর শেখ হাসিনাকে দুই হাত ভরে গিয়েছে। প্রাপ্ত ভোটের ৯৫ শতাংশেরও বেশি ভোট তিনি পেয়ে আসছেন গত পাঁচটি নির্বাচনেই। শতাংশের হিসাবে এত বড় ব্যবধানে বাংলাদেশে আর কোথাও কেউ পাস করতে পারেনি।

ঢাকাটাইমস/০৬জুন/টিএ/ডব্লিউবি