নাহিদের আসনে চোখ বিএনপির ছয় নেতার

প্রকাশ | ০৬ জুন ২০১৭, ১৩:০০ | আপডেট: ০৮ জুন ২০১৭, ১১:১৫

ব্যুরো প্রধান, সিলেট

গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজর উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৬ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদই কি আগামী নির্বাচনে নৌকার মাঝি হচ্ছেন? এই প্রশ্ন তৈরি হওয়ার কারণ আওয়ামী লীগের আরও দুই নেতার সক্রিয়তা। তারাও নৌকার টিকিট পেতে আগ্রহী। আর এই আসনে বিএনপির হয়ে লড়তে আগ্রহী  বএনপির অন্তত ছয় জন। আছেন শরিক দলের একাধিক নেতাও।

দশম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের বর্জনের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন নাহিদ। আগের নির্বাচনে জোট প্রার্থী জামায়াতের হাবিবুর রহমানকে বড় ব্যবধানে হারান নাহিদ। নির্বাচনে নাহিদ পান ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬৩৭ ভোট। আর হাবিব পান ৫১ হাজার ৫০৭ ভোট।

আগামী নির্বাচনে আরও এক বছরেরও বেশি সময় বাকি থাকতেই আওয়ামী লীগ-বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নেমে পড়েছেন মাঠে। জনগণের পাশে যাবার চেষ্টা করছেন তারা। যোগ দিচ্ছেন সভা-ঘরোয়া বৈঠকে।

নাহিদের কর্মী-সমর্থক এবং দলের সিংহভাগ নেতাই এ আসনে ফের তাঁকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান। তবে নৌকার মনোনয়ন চাইতে পারেন কানাডা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সারওয়ার হোসেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাসিব মামুনও মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন ঘনিষ্ঠজনরা।
তবে সিলেট আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, যারাই মনোনয়ন চান না কেন, নৌকার টিকিট পেতে পারেন নাহিদই।
আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী কে হবে? নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন হারানোয় জামায়াতের সুযোগ নেই। ফলে জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমানের ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই বললেই চলে।

২০০১ সালে এ আসনে স্বতন্ত্র প্রাথী হিসেবে নির্বাচন করে সাংসদ নির্বাচিত হন শিল্পপতি সৈয়দ মকবুল হোসেন লেচু মিয়া। পরে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। নবম নির্বাচনে এখানে জোটের প্রার্থী  জামায়াত নেতা হাবিবুরকে মনোনয়ন দিলে বিদ্রোহী হয়ে আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন করেন। ৪৮ হাজার ৯৭৪ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন মকবুল হোসেন।

বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় না হলেও দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন সৈয়দ মকবুল হোসেন লেচু মিয়া। এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে দীর্ঘ দিন থেকে মাঠে কাজ করছেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা রশিদ আহমদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি আবুল কাহের শামীম, সাবেক মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহরিয়ার হুসেন চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ফয়সল আহমদ চৌধুরীও মনোনয়ন পেতে আগ্রহী।

পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমদ চৌধুরীর বাড়িও এ আসনে। বিএনপি চেয়ারপারসন চাইলে তিনিও এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হতে পারেন।

এছাড়া এ আসনে নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা আবদুর রকিব এ আসনে প্রার্থী হতে আগ্রহী। তিনি বিএনপির জোটের শরিক।

ঢাকাটাইমস/০৬জুন/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি