রাতে কেন ঢিলেঢালা পোশাক

প্রকাশ | ০৬ জুন ২০১৭, ১৬:২০

ফিচার প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাত মানুষের কাছে যেন নিজের অকৃত্রিম আদিমতায় ফিরে যাওয়ার এক রহস্যময় সময়। এই সময়টা একান্ত নিজের করে নেয় মানুষ।দিনের বেলা যত কেতাদুরস্ত কিংবা আঁটোসাঁটো পোশাক পরা হোক না কেন, রাতের বেলা তার সবই বর্জন করা হয়। সহজাতভাবেই বেশির ভাগ মানুষ চায় রাতে কম পোশাকে থাকতে। অথবা ঢিলেঢালা ও পাতলা আরামদায়ক পোশাক বেছে নেন সবাই। বিজ্ঞানীরা বলছেন, রাতে গায়ে যত কম পোশাক থাকে তত ভালো।

পরিশ্রান্ত দিন শেষে রাতে মানুষ বিশ্রাম খোঁজে। চায় আরাম। এ ছাড়া অক্সিজেন-সংক্রান্ত রাসায়নিকেরও ব্যাপার-স্যাপার আছে, যা রাতে মানুষের ক্রিয়ার অংশ হয়।

গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের প্রভাষক মুনমুন খান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘সারা দিন কর্মব্যস্ত থাকার পর সন্ধ্যায় বা রাতে ঘরে ফেরার পর আমাদের শরীরের শিথিলতা দরকার। এই শৈথিল্য বা আরামটার জন্য পোশাক একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আঁটোসাঁটো পোশাক কখনোই শরীরের এই চাহিদাটা মেটাতে পারে না। শরীরের প্রশান্তির জন্য, চলাফেরা-নড়াচড়ায় স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য রাতের পোশাক হতে হবে ঢিলেঢালা। 

এ তো গেল মানসিক ও শরীরগত দিক। দেহের জৈব-রাসায়নিক প্রয়োজনেও ঢিলেঢালা পোশাকের কথা বললেন মুনমুন খান। ‘মানুষের শরীরের লোমকূপ দিয়ে ক্ষতিকর বর্জ্য উপাদান বের হয়। আঁটোসাঁটো পোশাক পরলে বর্জ্য উপাদান বের হতে পারে না। রাতে ঘুমানোর সময় মানুষের প্রচুর অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। শরীরের মধ্যে বায়ুপ্রবাহ বাড়ানোর জন্যও ঢিলেঢালা পোশাক নির্বাচন করা উচিত।’

রাতের পোশাকটি কী ধরনের উপাদানে তৈরি কাপড়ের হওয়া ভালো? সুতি কাপড়ের হলেই বেশি ভালো বলে জানান প্রভাষক মুনমুন খান।

এদিকে বিজ্ঞানীরা এক গবেষণায় দেখেছেন দেহের বায়ুপ্রবাহ আর ঘুম নির্বিঘ্ন করার জন্য স্বল্পবসন উত্তম। তারা বলছেন, রাতে মানুষের শরীরের পোশাকের পরিমাণ যত কম হবে ততই ভারো। কেননা, রাতে শরীরে বায়ুর প্রবাহ বেশি হলে ঘুম হয় গভীর।

(ঢাকাটাইমস/৬জুন/এজেড/মোআ)